পরিকল্পনা মন্ত্রীর নির্দেশেও এখনো সন্ধান মেলেনি উত্তরার স্কুল ছাত্র সিয়ামের
প্রকাশিত : ১৭:৫৮, ১৯ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১৮:৩৪, ১৯ আগস্ট ২০২১
গত ১৬ জুন হঠাৎ করে হারিয়ে যায় উত্তরা সাত নম্বর সেক্টরের উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিয়াম। দীর্ঘ এতদিনেও সন্তানের খোঁজ না পেয়ে দিশে হারা হৃদরোগ আক্রান্ত বাবা কেনু মিয়া। পুলিশ, ডিবি, র্যাব থানা সব জায়গায় ঘুরে তিনি ক্লান্ত। ছেলের জন্য নিরবে ঝরছে অশ্রু। কিন্তু ছেলে মোহাম্মাদ সিয়াম মিয়া স্কুলের পাশে রুপান্তর কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার পথে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হারিয়ে যায়।
সিয়ামের বাবা কেনু মিয়া বলেন, আমার ছেলে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করার জন্য কোচিং সেন্টারে গিয়েছিল। সেখান থেকে সে আর বাসায় ফেরেনি। আমরা গত ১৬ জুন থেকে নানা জায়গায় তাকে সন্ধান করেছি কিন্তু তার কোনো হদিশ পাইনি। এরপর পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান স্যার এর সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমার এলাকার এমপি। মন্ত্রীমহোদয় আমার কথা শুনে র্যাব মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন স্যারকে বলে দেন। পরে আমি মহাপরিচালক স্যারের সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাকে আশ্বাস দেন যে সর্বচ্চ চেষ্টা করে ছেলের খোঁজ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। পরে স্যারের নির্দেশে র্যাব এসে সিসি ফুটেজ নিয়ে যায়। কিন্তু প্রায় তিনমাস অতিবাহিত হলেও এখনো আমার ছেলের কোনো সন্ধান পাইনি। আমি সংশ্লিষ্ট থানা, ডিবি পুলিশ সব জায়গায় গিয়েছি। জিডি করেছি, ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এস আই নাহিদ পারভেজ একুশে টেলিভিশনকে বলেন, আমরা তাকে উদ্ধারের সর্বচ্চ চেষ্টা করছি। স্কুল থেকে শুরু করে এলাকার সিসি ক্যামেরাগুলি চেক করা হয়েছে; কোনো তথ্য এখনো মেলেনি। বিভিন্ন পুলিশবক্সে ছবিসহ সব তথ্য দেয়া হয়েছে, ওইসব জায়গা থেকে খোঁজ আসলে আমরা বলতে পারবো। এছাড়া ডিবি, র্যাবও উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাবা কেনু মিয়া আকুতি করে বলেন, কেউ যদি আমার সন্তানের সন্ধান পান তাহলে আমাকে এই নাম্বারে ০১৭৩৫৪৯৯৬৭২ জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার ছেলেকে ফিরে পেলে আমাদের পরিবারটি রক্ষা পাবে। আজকে অনেকদিন আমাদের ঘুম নেই। ঠিকমত খাওয়া নেই। ছেলের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আমি নিজে একজন হার্টের রোগি। ছেলের শোকে এখন নিজেই পাগলপারা। সিয়ামের মা ছেলের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে এখন বিছানায় পড়ে রয়েছেন।
কেনু মিয়ার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের দিঘলবাক দক্ষিণ কালাইনজোড়া গ্রামে। তিনি উত্তরা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে উত্তরার উত্তরখান ফায়দাবাদ রেলগেটের কাছে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
এসি
আরও পড়ুন