পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই দিতে পারে কুরবানি ও ইমানের পূর্ণতা
প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ১২ আগস্ট ২০১৯
বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো- পশু কুরবানি। এ সময় রাজধানীসহ সারাদেশে লাখ লাখ পশু কুরবানি দেয়া হয়। তবে প্রতি বছরই সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে রাজধানীসহ সর্বত্র কুরবানির পশুর রক্ত ও উচ্ছিষ্টাংশে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হয়। আর এসব বর্জ্য থেকে রোগবালাই ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে।
এ জন্য কুরবানির পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে আমাদের অবশ্যই নজর দিতে হবে। তাহলে পরিবেশ দুষণ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। তাছাড়া ধর্মীয়ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
কেননা, মহান আল্লাহ তা’আলা পরিষ্কার,পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা পছন্দ করেন। হোক তা আত্মার, শারীর অথবা পরিবেশের। আল্লাহর এই নিয়ামত মানুষের উপর তখনই পরিপূর্ণতা লাভ করে যখন মানুষ সঠিক পন্থায় আত্মা ও শরীর উভয়ের পাক-পবিত্রতা অর্জনের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও পূর্ণ জ্ঞান ও হেদায়েত লাভ করতে সক্ষম হয়। এ জন্যই প্রিয় নবী (স.) বলেছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক। (তিরমিযি)। সুতরাং ইমানের পূর্ণতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন অতীব জরুরি।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে ইসলাম সুন্দর শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে। ইসলামে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা রক্ষায় নানাবিধ বিষয় শেখানো হয়েছে। কুরআন ও সুন্নায় পরিচ্ছন্নতার চেয়ে আরও ব্যাপক শব্দ ‘তাহারাহ’ তথা পবিত্রতা ব্যবহার করা হয়েছে। এই ‘তাহারাহ’ শব্দ যেমন কুফরী ও বিধার্মিকতা থেকে নিয়ে যাবতীয় পাপাচারের মতো আভ্যন্তরীণ নোংরামি থেকে মুক্ত হওয়ার কথা বলে, তেমনি তা সব রকমের বাহ্যিক অপরিচ্ছন্নতা থেকে মুক্ত হওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে।
বাহ্যিক পবিত্রতা একজন মুমিনের সালাত শুদ্ধ হবার পূর্বশর্ত। যেমন- ‘হাদছ’ তথা অবস্তুগত অপরিচ্ছন্নতা থেকে পবিত্র হতে হয় অযু বা গোসল দ্বারা তেমনি ‘খুবুছ’ তথা বস্তুগত অপরিচ্ছন্নতা থেকেও পবিত্র হতে হয় দেহ, বস্ত্র ও স্থান পরিষ্কারের মাধ্যমে। এ কারণেই ইসলামে ফিকহ শাস্ত্রের সব গ্রন্থে প্রথমেই ‘কিতাবুত-তাহারাহ’ তথা পবিত্রতা অধ্যায় স্থান পেয়েছে। কেননা সালাতে প্রবেশের জন্য এটি অবিকল্প পথ। তাই জান্নাতের চাবি যেমন সালাত, তেমনি সালাতের চাবি পবিত্রতা।
পবিত্র কুরআনের দিকে তাকালে আমরা দেখি, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে চাদর আবৃতকারী, ওঠো! মানুষকে সতর্ক কর আর তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ (পরিমণ্ডল) পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র রাখো। আর অপরিচ্ছন্নতা-অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকো।’ [সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত: ১-৫]
অধিক পবিত্র হবার মানসিকতার জন্য কোবাবাসীর প্রশংসা করে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর, প্রথম দিন থেকে তা বেশি হকদার যে, তুমি সেখানে সালাত কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ্ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১০৮]
তেমনি নারীদের মাসিক স্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার আলোচনা শেষে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ [সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২২২]
একইভাবে সুন্নাতে নববী ঘাটলেও আমরা জীবনের নানা পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বারোপ বিষয়ে বহু বিশুদ্ধ হাদীস খুঁজে পাই। পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় নানাভাবে নানা উপায়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং নানাবিধ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা- পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকে ঈমানের অংশ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেমন আবূ মালেক আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।’ [মুসলিম: ২২৩]
পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বের পরিধি ইসলামে যেভাবে বিস্তৃত, অন্য কোনও ধর্মে এমনটি কল্পনাও করা যায় না। ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা, গৃহের পরিচ্ছন্নতা ও পরিপার্শের পরিচ্ছন্নতা- কোনটাই বাদ যায় নি। ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় অন্তত জুমাবারে গোসলের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এমনকি কোনও কোনও হাদীসে এ ক্ষেত্রে ‘ওয়াজিব’ শব্দও উল্লিখিত হয়েছে। যেমন: আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘জুমার দিন (শুক্রবার) গোসল করা প্রতিটি সাবালক ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব।’ [বুখারী : ৪৭৯]
ব্যক্তির পর পরিবেশ-প্রতিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে হাদীসে। নিজের শরীর ও পোশাকের মতো আবাস স্থানকেও নোংরা, আবর্জনা ও দৃষ্টিকটু উপাদান থেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিজের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা রক্ষায় এর বিকল্প নেই।
ইমাম তিরমিযী একটি হাদীস সংকলন করেছেন সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়িব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে। তিনি বলেন: ‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্রতাকে পছন্দ করেন; আল্লাহ পরিচ্ছন্ন, তিনি পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন; আল্লাহ মহৎ, তিনি মহত্ত্ব পছন্দ করেন; আল্লাহ বদান্য, তিনি বদান্যতা পছন্দ করেন। অতএব তোমরা তোমাদের (ঘরের) উঠোনগুলো পরিচ্ছন্ন রাখবে।‘ [তিরমিযী : ২৭৯৯] [২]
এছাড়া পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার শিক্ষা সংক্রান্ত হাদীসটি এত চর্চিত ও উচ্চারিত হয় যে, বলা যায় তা সবারই মুখস্থ। হাদীসটি পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা সম্পর্কে। যেমন- আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘সূর্যোদয় হয় এমন প্রতিটি দিন মানব দেহের প্রতিটি জোড়া তথা গ্রন্থির ওপর সাদকা ওয়াজিব হয়। তুমি দু’টি মানুষের মধ্যে যে ন্যায়বিচার করো, তা সাদকা। তুমি মানুষকে তার ভারবাহী পশুর ওপর চড়িয়ে দিয়ে কিংবা তার ওপর মালপত্র তুলে দিয়ে যে সাহায্য করো, তাও সাদকা। (এমনিভাবে) কাউকে ভালো কথা বলাও সদকা। নামাযের দিকে যাওয়ার সময় তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ সাদকা। রাস্তা থেকে তুমি যে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেল, তাও সাদকা।‘ [বুখারী : ২৯৮৯; মুসলিম : ১০০৯]
আরেক হাদীসে এসেছে, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘তোমরা লা‘নতকারী (অভিশাপের কারণ) দু’টি কাজ থেকে বেঁচে থাকো। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, লা‘নতকারী (অভিশাপের কারণ) দু’টি কাজ কী? তিনি বললেন, যে মানুষের চলাচলের রাস্তায় কিংবা তাদের (গাছপালা) ছায়ায় পেশাব-পায়খানা করে।’ [আবূ দাঊদ : ২৫; মুসনাদ আহমদ : ৮৮৫৩]
এদিকে পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলাকে ঈমানের অংশ আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘ঈমানের সত্তরের কিছু বেশি শাখা রয়েছে; তার মধ্যে সর্বোত্তম হলো ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলা। আর নিম্নতম হলো (চলাচলের) পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জাও ঈমানের একটি শাখা।‘ [মুসলিম : ৩৫]
পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলায় আল্লাহর মাগফিরাত লাভের কথা বলা হয়েছে। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। পথিমধ্যে সে রাস্তায় একটি কাঁটার ডাল দেখতে পেয়ে তা সরিয়ে ফেলল। এতে আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।’ [বুখারী : ৬৫২]
তেমনি পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে পরিবেশ দূষণ রোধেও পবিত্র সুন্নাহে নানা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেমন বদ্ধ বা স্রোতের পানিতে পেশাব থেকে বারণ করে বলা হয়েছে, (আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে,) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে পেশাব না করে অতঃপর তা দিয়ে গোসল করে।’ [বুখারী : ২৩৯; মুসলিম : ২৮২]
তেমনি খাদ্য ও পানীয়কে দূষণমুক্ত রাখতে পাত্র ঢেকে রাখাসহ বিভিন্ন জরুরি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেমন জাবের ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘তোমরা বাসন ঢেকে রাখো, পানপাত্রের মুখ বন্ধ রাখো, দরজা অর্গলাবদ্ধ (পর্দায় আবৃত) করো এবং এশার সময় তোমাদের শিশুদের সামনে রাখো। কেননা এসময় জিনরা ছড়িয়ে পড়ে এবং আছর করে। আর তোমরা নিদ্রাকালে বাতিগুলো [প্রদীপসমূহ] নিভিয়ে দিও। কেননা ইঁদুর কখনো প্রদীপের সলতে টেনে নিয়ে যায়। অতঃপর তা গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে দেয়।’ [বুখারী : ৩৩১৬]
তাছাড়া পরিবেশ নোংরা করলে অন্যের কষ্টের কারণ হয়। আর অন্যকে কষ্ট না দিতেও ইসলামে নানা রকম আদব শেখানো হয়েছে। আবূ মুসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, কে উত্তম মুসলিম? তিনি উত্তর দিলেন, ‘যার হাত ও মুখের অনিষ্ট থেকে অন্যসব মুসলিম নিরাপদ।’ [বুখারী : ১১]
সুতরাং আসুন, এই কুরবানিতে নষ্ট হওয়া পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যে কাজগুলো আমাদের অবশ্যই করণীয় সেগুলো জেনে নিই এবং নিজে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতা অবলম্বনের পাশাপাশি আমাদের পরিবেশ-প্রতিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র রাখার চেষ্টা করি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয়:
১. মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্টাংশ যেখানে-সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন। কাজ শেষে সেগুলো গর্তে পুঁতে ফেলুন।
২. পশুর ভুঁড়ি পরিষ্কারের পর সেই আবর্জনা খোলা অবস্থায় না রেখে সেগুলোও গর্তে পুঁতে ফেলুন।
৩. কুরবানির সব কার্যক্রম শেষে রক্তে মাখা রাস্তাঘাট ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। জীবাণু যেন ছড়াতে না পারে সে জন্য নোংরা জায়গা পরিষ্কারের সময় স্যাভলন মেলানো পানি এবং ব্লিচিং পাওডার ব্যবহার করুন।
৪.কুরবানির পর আমাদের সচেতনতাই পারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে। আমরা যেন শুধু পশু কোরবানির মাধ্যমেই ত্যাগ শব্দটি সীমাবদ্ধ না রাখি।
৫.যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশুর চামড়া বিক্রি কিংবা দান করতে হবে। শহরে যারা থাকেন তারা বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে এক স্থানে কোরবানি করা ভালো। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাজ করতে সুবিধা হয়।
৬. খেয়াল রাখতে হবে, কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়। আর জায়গাটি রাস্তার কাছাকাটি হলে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছতে সহজ হবে। তবে যেসব এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি পৌঁছনো সম্ভব নয় বা দেরি হবে, সেসব স্থানে বর্জ্য পলিথিনের ব্যাগে ভরে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে ইসলামের সৌন্দর্য অনুধাবন করে এর আলোকময় শিক্ষায় উদ্ভাসিত হবার তাওফীক দান করুন। আমাদের সকলকে বানিয়ে দিন ইসলামের আলোর দিশারী এবং সত্য ও সুন্দরের পথনির্দেশক।
এনএস/