ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

পরী কাণ্ডে মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫১, ১৪ জুন ২০২১ | আপডেট: ১৫:২৩, ১৪ জুন ২০২১

নায়িকা পরীমণিকে ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ ঘটনার লিখিত অভিযোগ হাতে নেওয়ার পর এবার সেটি মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

গণমাধ্যমকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এর আগে রাজধানীর মিরপুর বিভাগের রূপনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার সাভার থানা এলাকায়, তাই রূপনগর থানায় করা লিখিত অভিযোগটি সাভার থানায় এনে মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে।’

এদিকে, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের হদিস মিলছে না। পুলিশ বলছে, পরীমণির অভিযোগ পাওয়ার পর নাসির ইউ মাহমুদের সন্ধানে কাজ করা হচ্ছে। তবে এখনও তার সন্ধান মেলেনি।

এর আগে, রোববার (১৩ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার বিস্তারিত জানান ঢালিউড নায়িকা পরীমণি। তুলে ধরেন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিবরণ।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিনেত্রী জানান, গত বুধবার (৯ জুন) রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও পরীর পোশাক ডিজাইনার জিমির সঙ্গে বাইরে বের হয়েছিলেন। রাত ১২টার দিকে অমি তাদের নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরীর পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরে অমি সেখানে থাকা নাছির ইউ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। সে সময় নাছির ইউ মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাছির ইউ মাহমুদ পরীকে মদ খেতে প্রস্তাব করেন। পরী রাজি না হলে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পড় মারেন। তারপর নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি