পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক: পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ৯ জুলাই ২০১৯
রামসার প্রকল্পভুক্ত ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ অব টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প ও বারেকটিলা কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে।
গত রোববার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরে পারিবারিক সফরে এসে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রোববার জাদুকাঁটার নৌপথে নৌকা (বড় ট্রলার) যোগে সীমান্তনদী জাদুকাঁটা, বারেকটিলা ,বৌলাই,পাটলাই, মাটিয়াইন, টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী দেশের প্রথম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি)র নিয়ন্ত্রিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের মেঘালয় সীমান্তঘেষা ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পে পৌঁছে প্রশাসন ও পরিবারিক সফরসঙ্গীদের নিয়ে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ৫নং সেক্টরের ৪নং সাব সেক্টরে ট্যাকেরঘাট প্রকল্পে শহীদ স্মৃতি স্তম্বে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।
এরপর তিনি ঘুরে ঘুরে বীর উওম শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী লেক). ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে ট্যাকেরঘাট অতিথি ভবনে (নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যালয়) এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে সরাসরি পর্যটনবাহী চার চাকার গাড়ি বারেকটিলা, ট্যাকেরঘাট ও টাঙ্গুয়ার হাওরে পৌঁছবে। এ লক্ষ্যে সীমান্তনদী জাদুকাটার উপর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে দৃষ্টি নন্দন একটি সেতু ও বালিয়াঘাট পুরাতন ডাম্পের বাজারের মধ্যবর্তী পাটলাই নদীর উপর আরও একটি সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটক ভ্রমণ পিপাসুদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাঙ্গুয়ার হাওরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পে সরকারি জায়গা, বিভিন্ন স্থাপনা, খনি প্রকল্পের মুল্যবান যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এখানে পর্যটক বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ যেমন আবাসিক হোটেল, কটেজ, খাবার রেষ্টুরেন্ট, শিশুদের বিনোদনের জন্য সব ধরনের অকাঠামোগত সুবিধা তৈরি করা হবে।
এছাড়াও পরিকল্পনামন্ত্রী টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট, বারেকটিলা টিলা কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্পের বিকাশে বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী সীমান্ত সড়ক সম্পর্কে আরও বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা- ময়মনসিংহ সীমান্ত সড়ক নির্মাণ এবং অর্ধশতাধিক সেতু তৈরির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। সীমান্ত সড়ক বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্ত রয়েছে সেটিকে দুই লেনে উন্নীত করে ২৮ ফুট প্রশস্ত করা হবে।
এএইচ/
আরও পড়ুন