ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী ওলামা লীগ

পশুর হাট বসতে না দেয়া জামায়াত-জোট-হেফাজতের ষড়যন্ত্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ২৫ জুলাই ২০২০

জাতীয় কমিটি কর্তৃক ঢাকাসহ ৪ নগরীতে পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত জামায়াত-জোট-হেফাজতের ষড়যন্ত্রমূলক এজেন্ডা। যা সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তোলার, সংক্ষুব্ধ করার কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

তারা বলেন, ‘সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ওলামা লীগ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রত্যাখ্যান করছে। পবিত্র কুরবানির হাট নিষিদ্ধ করলে বা হাটের সংখ্যা কম করা হলে পবিত্র কুরবানী নিরুৎসাহিত করলে এবং ফ্ল্যাটবাড়িতে পবিত্র কুরবানী নিষিদ্ধ করলে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের দেশের সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। পাশাপাশি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না, এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে।

শনিবার (২৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দফা দাবীতে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১২টি ইসলামিক দলের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘পবিত্র কুরবানীর পশু মহান আল্লাহ পাক উনার শেয়ার। এর ছবি তোলা বা ডিজিটাল হাট পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম। ডিজিটাল হাটের নামে কুরবানীর পশু বেচাকেনা বাধাগ্রস্থ ও সীমাবদ্ধ স্বল্প সংখ্যাক করার অপচেষ্টা করলে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই দেশে মুসলমানগণ ক্ষুব্ধ হবে। যার সুযোগ নিবে জামাত-জোট হেফাজত। পাশাপাশি ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারিত হবেন কুরবানীদাতা। কাজেই ডিজিটাল হাট বসানো যাবে না।

বিএনপি-জামাত চায় লকডাউনের নামে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে। একইভাবে তাদের এজেন্টরা চাচ্ছে করোনার অজুহাতে পবিত্র কুরবানী বাধাগ্রস্ত, দেশের পোল্ট্রি খামারীদের মাঠে বসাতে। সরকারকে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে।

বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে খুনি মুশতাকের বংশধররা এখনও ভর করে আছে। তারা মহাসম্মানিত পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে সাধারণ ধর্মপ্রাণরা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। সাধারণ ধর্মপ্রাণদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান সংক্ষুব্ধ হয়। জামাত শিবির তাতে উস্কানি দিয়ে সরকারকে ইসলাম বিরোধী বলে প্রমাণ করতে পারে এবং সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিতে পারে।

তারা বলেন, ‘করোনা ছোঁয়াচে ও মহামারী’- ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রণীত এবং তার সাথে হেফাজতী ও তাব্যৎ ধর্মব্যবসায়ী উলামাদের দ্বারা সমর্থিত এ ফতওয়াকে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের প্রেক্ষিতে রাজারবাগ শরীফ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কোটি টাকার চ্যালেঞ্জসহ প্রকাশ্য বাহাসের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ওলামা লীগ ও নির্ভরযোগ্য ইসলামী দলীলের প্রেক্ষিতে রাজারবাগ শরীফের সাথে একমত পোষণ করে করোনা ছোঁয়াচে ও মহামারী- এ ফতওয়াকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং বাহাসের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ এভাবে করোনা আতঙ্ক বিস্তার করলে দেশ পিছাতে থাকবে, সরকার হিমশিম খাবে।

বক্তারা বলেন, ‘করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা বন্ধ করা, ফাঁক ফাঁক করে নামাজে দাঁড়ানো, ১২ জনের বেশি মুসল্লি না হওয়া, মাঠে ঈদের জামায়াত করতে না দেয়া ওহাবী-জামাতপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক ফতওয়া। যা সম্পূর্ণ কুফরী হয়েছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে সরকারের প্রতি যারপর নাই ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এটা জামাতী ওহাবীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। 

বক্তারা আরও বলেন, ‘প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক কমপক্ষে ২ শত কুরবানীর হাট বসানো হোক।৯৮ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাস কুরবানীর ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। কুরবানীর ঈদ তিন দিন; কাজেই আসন্ন কুরবানীতে সরকারীভাবে ১২ দিন ছুটি দিতে হবে।’

কুরবানীর হাট ইবাদতের হাট। কাজেই এ হাটে গান-বাজনা, গরুর ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম কাজ মুক্ত করা হোক।

সমাবেশ ও মানববন্ধন সমন্বয় করেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ প্রমুখ।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি