ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ৪ঠা এপ্রিল

প্রকাশিত : ১৩:৩৪, ২ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৩:৩৪, ২ এপ্রিল ২০১৬

আর মাত্র ২ দিন বাকি পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ ভারতের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। ক্ষমতাসীন বিজেপির মেয়াদকালের মাঝামাঝি সময়ের এ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে সরকারের জনমত যাচাই হিসেবে। এরিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে রুখতে জোটবদ্ধ হয়েছে বামপন্থী সিপিএম ও কংগ্রেস। আর আসামে কংগ্রেসকে থামাতে কোমর বেধে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচন কড়া নাড়ছে ভারতের তামিলনাড়–, কেরালা, পুদুচেরি, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে। টানা তিন দশকের বাম শাসনের যবনিকা টেনে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বসে ইউপিএ জোটের দলছুট মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃনমূল কংগ্রেস। তবে হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে এবার মরিয়া সিপিএম। তৃনমূল বধের মিশনে যোগ দিয়েছে চিরশক্রু কংগ্রেসের সঙ্গে। ৪ঠা এপ্রিল শুরু হয়ে ৭টি ধাপে একমাসেরও বেশী সময় ধরে ভোট চলবে। যাতে অংশ নেবে পশ্চিমবঙ্গের সাড়ে ছয় কোটি ভোটার। তবে জরিপ বলছে, খুব বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। সম্প্রতি তৃণমূলের মাথার উপর যে ঘুষ কেলেংকারির খড়গ ঝুলছে তাতে জনমনে কিছু পরিবর্তন হলেও তাতে ক্ষমতা হারানোর ভয় নেই ক্ষমতাসীনদের। ভোটের লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে তৃণমূল আর সিপিএম-কংগ্রেস জোটের মধ্যেই। যেখানে বরাবরের মতই নিষ্ক্রিয় থাকবে বিজেপি। এদিকে আসামের নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। কারন ৫টি রাজ্যের একটির বিধানসভায়ও নেই মোদিজীর দল। আর তাই কংগ্রেস নেতা তরুন গগইকে রুখতে আসামে হাজির হয়েছিলেন মোদি নিজে। আগে পরে নির্বাচনী প্রচারনায় এসেছেন দলের সব হেভিওয়েটরা। নির্বাচনী জরিপও এগিয়ে রাখছে বিজেপিকে। নিয়েলসেনের জরিপ বলছে, ২ কোটি ভোটারের ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে আসামে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি। তবে জরিপ প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস। মূল লড়াই হবে কংগ্রেস, বিজেপি ও মাওলানা বদরুদ্দিন আজমলের এআইইউডির মধ্যে। সবগুলো রাজ্যের ভোট গননা হবে ১৯শে মে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি