পহেলা বৈশাখে নগরীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার
প্রকাশিত : ১৭:১৮, ১১ এপ্রিল ২০১৯
পহেলা বৈশাখে নগরীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে নগরীতে নিরাপত্তার কোন সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। তবে কেউ কোনো ধরণের নাশকতার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এসময় অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) শাহাবুদ্দিন কোরেশী, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা নববর্ষ ঘিরে নগরীর উৎসব স্থলগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, গুলশান পার্ক, রবীন্দ্রসরোবর ও বাহাদুরশাহ পার্কসহ প্রত্যেকটি উৎসব স্থলে সিসি ক্যামেরা থাকবে।
তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। শোভাযাত্রার চারদিক ঘিরে থাকবে পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত। পথিমধ্যে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া শোভাযাত্রায় মুখোশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নিরাপত্তায় সোয়াতের সাথে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, পোশাকধারী পুলিশ, চারুকলার টিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ্ছাসেবীরা সহযোগী হিসেবে থাকবে। যারা অংশ নেবেন তাদের চারুকলা থেকেই প্রবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, নগরীর বেশকয়েকটি সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শতাধিক মাইক ব্যবহার করে কমান্ড সেন্টারের ব্যবস্থা থাকবে। ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে বিশেষ টিম থাকবে। ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা পার্কের লেকে ডুবুরী দল থাকবে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রমনা পার্কে মোট ৮টি গেট থাকবে। এর মধ্যে তিনটি শুধু প্রবেশ ও তিনটি প্রবেশ ও বাহির এবং দুটি শুধু কেবল বাহির হওয়ার গেট থাকবে। কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন গেট, মৎসভবন গেট ও শিশু পার্কের বিপরীত গেট দিয়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়া যাবে। শিখা চিরন্তনী বরাবর একটি নতুন গেট দিয়ে শুধু বাহির হওয়া, হেয়াররোডের গেট ও রুপসী বাংলার কাছাকাছি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। রমনা রেষ্টুরেন্টের কাছাকাছি যে দুটি গেট রয়েছে একটি দিয়ে প্রবেশ ও অপরটি দিয়ে বের হওয়া যাবে। এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৭টি গেট থাকবে। এর মধ্যে শাহবাগের ছবির হাট ও রমনা কালি মন্দির গেট বন্ধ থাকবে। বাকি গেটগুলোর মধ্যে তিনটি দিয়ে প্রবেশ ও দুইটি দিয়ে বাহির হওয়া যাবে। বিকেল পাঁচটার মধ্যে দর্শনার্থী প্রবেশের সকল গেট বন্ধা করে দেয়া হবে এবং পুনরায় বিকেল ৬টার মধ্যে উৎসবস্থল থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখে পার্কে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের কেউ ভূঁভূজেলা বাঁশি বাজিয়ে বিরক্ত করতে পারবে না। এটা বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তাই এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে উৎসব স্থলগুলোতে কেউ ধূমপান করতে পারবে না। ভূঁভূজেলা বাজানো ও ধুমপানকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন