পাঁচ দফা দাবিতে হাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ১৯ জুলাই ২০১৮
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় একটি অংশ ড্রপ আউট পদ্ধতি বাতিল করে ক্যারি অন পদ্ধতি চালুকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ।
তারা নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেন (১) কোন শিক্ষার্থী অসুস্থতাজনিত কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে বা তিনটির অধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও তাকে পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়। (২) অকৃতকার্য বিষয়সমূহ শর্ট সেমিস্টারে অংশগ্রহণ করে পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হয়। (৩) শর্ট সেমিস্টার বা মানোন্নোয়নের জন্য একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে ইমপ্রুভ দিতে পারবে এবং ইমপ্রুভে যে যত মার্ক পাবে তাকে তত মার্ক দেওয়া এবং (৪) চূড়ান্ত পরীক্ষার পর অনধিক এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে (৫) ক্রেডিট ফি ১৫০ টাকা থেকে কমিয়ে আনতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, যতদিন না আমাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অসুস্থতাজনিত কারণে পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারলে বা ৩টি বিষয়ে অকৃতকার্য হলে ক্যারি অন সিস্টেম চালু আছে সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা থেকে কেন বঞ্চিত থাকবে? তাছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ফলাফল প্রকাশ করতে অনেক দেরী করে যার কারণে একজন শিক্ষার্থীকে চাকরির সার্কুলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যার স্মমুখীন হতে হয়। আমরা আশা করব প্রশাসন অনতিবিলম্বে আমাদের এই যৌক্তক দাবিগুলো মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিবেন ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাদের যে তথ্য উপাত্ত দিবে তার ওপর ভিত্তি করে একাডেমিক কাউন্সিলে উত্তোলন করা হবে এবং সেটা যদি যোক্তিক হয় এবং শিক্ষার্থীরা এটা চাচ্ছে সেহেতু সেখানে আমাদের জোর সুপারিশ থাকবে ।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সফিউল আলম বলেন, একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আর যেহেতু এটা অনেক দিন ধরে চলে আসছে তাই হঠাৎ করে পরিবর্তন করতে গেলে কিছু প্রক্রিয়া ও সময়ের দরকার। আমাদের সে সময়টুকু তো দিতে হবে। যদি সে সময়টুকু আমাদের না দিয়ে তারা কর্মসূচি চালায় তাহলে সেটা তাদের বিষয় ।
এসএইচ/
আরও পড়ুন