পাঁচ বছরেও জাতীয় কাউন্সিল করতে পারেনি বিএনপি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৪৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৪:১১, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
প্রায় পাঁচ বছরেও জাতীয় কাউন্সিল করতে পারেনি বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাদের অভিযোগ, করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও জেলা কাউন্সিল শেষ করেই দ্রুততম সময়ে জাতীয় কাউন্সিল করতে চান তারা। এরইমধ্যে বেশ কিছু জেলার কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। তবে জেলা সম্মেলন করতে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩ বছর পর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটির মেয়াদোত্তীর্ন হয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় আগে। তবে কবে কাউন্সিল হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না দলটি।
দলের নেতারা দিন-তারিখ নির্দিষ্ট না করলেও বলছেন, শিগগিরই হবে সপ্তম কাউন্সিল। এজন্য জেলা সম্মেলনগুলো শেষ করতে তাগিদ দেয়া হচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, চেয়ারপারসন আগের মতো দলকে নেতৃত্ব দিতে না পারায় সমন্বিত সিদ্ধান্ত আসছে না।
নেতারা বলছেন, জাতীয় কাউন্সিল করতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচন দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে তখন কাউন্সিল ডাকা হবে। কারণ কাউন্সিলে তো প্রতিটি জেলা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, আমরা গণতন্ত্রভাবে কাউন্সিল করতে চাই।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপির যতগুলো জেলা কমিটি আছে তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। আর আমার জানা মতে শতকরা ৮২ ভাগ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাধার মুখে দাঁড়িয়ে কাউন্সিল করা সহজ নয় বলেও মন্তব্য করেন তারা।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল পর্যন্ত আমরা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। যদিও সব জায়গায় বাঁধাহীনভাবে করতে পেরেছি তা নয়, কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি নতুন নেতৃত্ব এখানে এসেছে এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি তৃণমূলে বিস্তৃতিটা ঘটিয়েছি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির উপর যে ধরনের নিপিড়ন-নির্যাতন, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলার নির্যাতনের ভেতরে থেকে দলের কার্যক্রম চালানো খুবই কঠিন। প্রতি পদে পদে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছি।
কিছুটা দেরী হলেও সব প্রস্তুতি শেষ করেই ৭ম কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন