পাংশা থানার ওসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে নারীর মামলা
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ৭ এপ্রিল ২০২৫

এক নারীকে হয়রানী, ধর্ষণ চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় রাজবাড়ীর পাংশা থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) ও এসআইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের ২৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে ওসি’র দাবি একটি অপহরণ মামলার আসামি ওই নারী ও তার স্বামী। ওই মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতেই ওই নারীর বাড়ীতে থানা পুলিশের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে এবং ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সিনিয়র একজন পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে আটককৃত নারীকে মুচলেকায় পারিবারিক জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। অথচ কোন কারণ ছাড়াই তিনি আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
ওই নারীর সাথে কোনরূপ খারাপ আচরণ করা হয়নি বলে জানান ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সালাউদ্দিনের নির্দেশে এসআই (দারোগা) হিমাদ্রি হাওলাদার ও সহযোগী আরিফ হোসেন ওই গৃহবধূর বাড়িতে হানা দেয়। এসময় ওই গৃহবধূর বাড়ীর বিভিন্ন কক্ষে তার স্বামীকে খোঁজার অজুহাতে তল্লাশী চালায়। স্বামীকে না পেয়ে ওই গৃহবধূকে টেনে হিঁচড়ে রুম থেকে এনে তাদের কামনা চরিতার্থ করার জন্য গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
এরপর ওই রাতেই অভিযোগকারী গৃহবধূকে পাংশা থানায় নিয়ে ওসির নির্দেশে শারীরিক, মানসিক ও দৈহিক নির্যাতন চালান হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধূকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানায় গেলে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণসহ মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, অভিযোগ তদন্তের জন্য মামলার নথিপত্র পিবিআই দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন