ঢাকা, রবিবার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাইলট আবিদের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত আফসানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৪, ২৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১১:০৩, ২৫ মার্চ ২০১৮

সন্তান-সংসার ফেলে স্বামী ইউএস-বাংলার পাইলট আবিদ সুলতানের কবরের পাশেই চিরনিদ্রাই শায়িত হলেন স্ত্রী আফসানা খানম। শুক্রবার বাদ আসর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর জামে মসিজদে আফসানা খানমের জানাজার পর বনানী সামরিক কবরস্থানে স্বামীর পাশে অন্তিম শয্যায় শায়িত হয়েছেন তিনি।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আফসানা মারা যান।

তাদের ১৫ বছর বয়েসী ছেলে তানজিদ সুলতান মাহি মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে বাবা ও মাকে হারিয়ে যেন বাকরূদ্ধ। শোকে পাথর মাহির চোখে নেই অশ্রুও।

আফসানার ফুফাতো ভাই খন্দকার রেজাউল করিম বলেন, মাহি একেবারেই চুপচাপ। তাই তাকে নিয়ে ভয়। কাঁদলে মন হালকা হতো। কিন্তু কথাই বলছে না ক`দিন আগের প্রাণচঞ্চল কিশোর মাহি। মাহির পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ক্রুসহ ৫১ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বিমানটির প্রধান পাইলট আবিদ আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বিমানবাহিনীর সাবেক এই বৈমানিকের।

স্বামী পাইলট আবিদ সুলতানের মৃত্যুর খবরে গত ১৮ মার্চ স্ট্রোক করেন আফসানা খানম। এরপর থেকেই হাসপাতালটির আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে গত তিন দিন তিনি লাইফসাপোর্টে ছিলেন। আফসানার মৃত্যুর খবরে স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। সেখানে সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশ।

হাসপাতাল থেকে আফসানার মরদেহ উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের ৩৮ নম্বর ভবনের বাসায় নেওয়া হয়। এ ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামী, সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। বাদ আসর জানাজা শেষে বনানীতে স্বামীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

 

আর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি