পাগলা মসজিদের দানবাক্সে শেখ হাসিনা ও ড. ইউনূসকে নিয়ে চিরকুট
প্রকাশিত : ১৫:১৩, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকার সঙ্গে মনোবাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষার বেশ কিছু চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি চিরকুট শেখ হাসিনাকে নিয়ে আরেকটি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে লেখা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের উপস্থিতিতে মসজিদের নিচতলায় বিভিন্ন স্থানে থাকা দানসিন্দুকগুলো একে একে খোলা হয়।
দানবাক্স খুলে টাকা গণনার সময় মিলে অজ্ঞাত পরিচয়ের বহু চিঠি-চিরকুট। পাওয়া চিরকুটগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা চিরকুটটিতে লিখা ছিল “পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়”।
এমন আর একটি চিরকুটটিতে লেখা রয়েছে ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই- সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
এমন আরও অনেক চিরকুটে সাধারণ মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন পাগলা মসজিদে।
আজ শনিবার সকাল সাতটার দিকে দানবাক্স খুলে ১১টি দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এখন চলছে গণনার কাজ। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর সর্বশেষ খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। তখন মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। দিনভর গুণে হিসেব মিলে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা।
শেষ হিসেব অনুযায়ী এবার ৪ মাস ১১ দিন পর খোলা হলো মসজিদের দানবাক্স। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার দানবাক্স গুলো দেরিতে খোলা হয়েছে।
দানবাক্স খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। টাকা গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত মসজিদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। তাছাড়া দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে চারশ লোক টাকা গণনার কাজ করছেন।
এএইচ
আরও পড়ুন