পাচার করা অর্থই রেমিটেন্স হয়ে আসছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে
প্রকাশিত : ১৫:১২, ২৭ মে ২০২৩
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সঠিক নীতি অবলম্বন ও পরিকল্পনা করা না হলে আগামী অর্থবছর ভয়াবহ হবে। সিপিডি’র বাজেট আলোচনায় বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাত শক্তিশালি করা, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম দূর, ঋণ খেলাপী কমানো, হুন্ডি রোধ করে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে সংস্কারের পরামর্শ উঠে আসে আলোচনায়।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজের নিয়ে তৃতীয় অর্ন্তবর্তীমূূলক পর্যালোচান ও সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক তুলে ধরেন আগামী বাজেটের বিভিন্ন দিক।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিক কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে, সুশাসন, সামাজিক নিরাপত্তা ঘাটতি, অভ্যান্তরীন সম্পদ আহরন কম, কেন্দ্রীয় বাংকের ঋন বৃদ্ধি, সরকারের ঋন বাড়ার পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকেরও ঋণ খেলাপী বাড়ছে। এছাড়া করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারনে দেশের অর্থনীতি খারাপের মধ্যদিয়ে পার হচ্ছে।
গত এক বছরে দেশের বাইরে বিশ লাখের বেশী শ্রমিক গেলেও রেমিটেন্স খুব বেশী আসেনি উল্লেখ করে তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে রেমিটেন্স আসছে সেগুলো আগেই দেশ থেকে পাচার হয়েছিলো কি না সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।
আলোচকরা জানান, সামাজিক অর্থনীতিক সূচক খুব ভালো অবস্থায় নেই। এ ধারায় থাকলে সমস্যা বাড়বে বলেও জানান তারা।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো, পাচাররোধসহ আগামী বাজেটে অর্থনীতিক নীতি সংস্কারের পাশাপাশি বাস্তাবায়নের পরামর্শ তাদের।
এসবি/
আরও পড়ুন