পানি কমতে শুরু করলেও কমেনি দুর্ভোগ
প্রকাশিত : ১০:৩০, ১১ জুলাই ২০২৪
দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের নদনদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দুর্গত এলাকায় দুর্ভোগ কমেনি মানুষের। বেড়েছে নদী ভাঙনও। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, চব্বিশ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলে যুমনাশ্বরী, আপার করতোয়া, আত্রাই, পুনর্ভবা, টাঙ্গন ও ইছামতি-যমুনার পানি সামান্য বাড়তে পারে।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের মানুষ এখন পানিবন্দী। বেশি কষ্টে শাহজাদপুর, চৌহালি, সদর, বেলকুচি ও কাজীপুরের দুর্গতরা।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত বালির বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার রাতে হঠাৎ বাঁধে ভাঙন ও ধস দেখা দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়তে শুরু করে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় শেষ সম্বল নিয়ে অন্যত্র সরে যায়। তবে পাঁচটি পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি কমতে শুরু করলেও যমুনা, ঝিনাই, ধলেশ্বরীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
এদিকে পানি কমার সাথে সাথে তীব্র হয়েছে নদীভাঙন। ভুঞাপুর ও বাসাইল উপজেলার শতাধিক গ্রামের ঘরবাড়ি, হাট-বাজার, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কিন্তু কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। তিস্তা যমুনা ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার সামান্য উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভাষারপাড়া, কঞ্জিপাড়া, ছাতারকান্দিসহ ৬টি গ্রামে এখনও থৈ থৈ পানি। এই গ্রামগুলোতে কোন মানুষ নেই। মালপত্র নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নৌকায়।
বগুড়ায় যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে ৩ সেন্টিমিটার, তবে এখনও পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বানভাসিদের খাবার সংকটসহ বেড়েছে দুর্ভোগ।
বন্যার ফলে বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি এই তিন উপজেলার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার ৮২০ পরিবারের ৭৯ হাজার ৩৭৯ জন মানুষ। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। ডুবে গেছে তিন উপজেলার ২ হাজার ১২৭ হেক্টর জমির ফসল।
এএইচ
আরও পড়ুন