পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ১২ আগস্ট ২০২৩
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ চট্টগ্রাম। এখনও পানিবন্দী সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার লাখো মানুষ। অন্যদিকে বান্দরবানে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি। ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে পানি নামার সাথে সাথে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
এখনও পানিবন্দী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার মানুষ। বিদ্যুৎ নেই, খাদ্য ও সুপেয় পানির অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুর্গতরা।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুরু থেকেই কাজ করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবান মহাসড়ক থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ভয়াবহ বন্যা এবং পাহাড় ধসে বিপর্যস্ত বান্দরবান। বন্যার পানি নামলেও রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সবখানেই কাদা-মাটি এবং ময়লা আবর্জনার স্তুপ।
নিরাপদ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
টানা বর্ষণের ফলে ডুবে যায় বান্দরবানের প্রধান বাজার, ডিসির বাসভবন, এসপি অফিস, বাসভবন, জর্জ কোর্টসহ মেম্বার পাড়া, আর্মি পাড়া, ইসলামপুরসহ শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ বাড়িঘর।
ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানি নামার সাথে সাথে ফুটে উঠছে ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র। দুই উপজেলার ৮১৫ হেক্টর আমন ক্ষেত, ২০ হেক্টর সবজি পানির নিচে তলিয়ে আছে ৷ মুহুরী নদীর তিটি স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের পানিতে ৩৭৫টি পুকুরের ৪৯ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে।
বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এএইচ
আরও পড়ুন