ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

পাবজি খেলতে গিয়ে প্রেম! অত:পর..

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬, ১২ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১১:৪১, ১২ জানুয়ারি ২০২২

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ, তারপর প্রেম- বিয়ে, এমন নজির প্রচুর। তাই বলে ভার্চুয়াল গেইম অ্যাপে বধূ খুঁজে পাওয়া! এই ঘটনা নজিরবিহীন। তার উপর ‘শত্রু’কেই জীবনের পরমবন্ধু করে ফেলা! এমন ঘটনার উদাহরণ রামায়াণ-মহাভারত আর সিনেমার স্ক্রিপ্টে অবশ্য মেলে। অনেকটা সেই কায়দাতেই সাত পাকে বাঁধা পড়ল ভারতের কর্ণাটকের যুবতীর সঙ্গে ধুপগুড়ির এক যুবক। যার নেপথ্যে ছিলো ভার্চুয়াল গেমিং অ্যাপ পাবজি।

যুবক সাইনুল আলম জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির আলসিয়া গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে পাবজি খেলতো সে। এই খেলায় আসক্ত থাকায় তাকে বহু গালমন্দও শুনতে হয়েছে পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছে। আর সেই খেলা থেকেই কিনা ঘরে এল বউ! এতখানি ভাবতে পারেননি সাইনুলের আত্মীয়রাও।

সাইনুল জানিয়েছেন, বহু দিন ধরেই পাবজি খেলছেন তিনি। তা থেকেই আলাপ হয় কন্নড়ের যুবতী ফ্রিজার সঙ্গে। শুরুতে দু’জন ছিলেন একে অপরের কড়া প্রতিপক্ষ। খেলার নিয়ম অনুযায়ী উভয়ের মধ্যে চলে গুলি ছোঁড়াছুড়িও। এরপরই পরিচয়, ফোন নম্বর বিনিময় এবং ধীরে ধীরে গভীর হয় আলাপ। এভাবেই একদিন অনলাইনে দেখা করেন দু’জনে।

পারিবারিক ব্যবসা মুদি দোকান সামলাতে হয় সাইনুলকে। ফলে ইচ্ছা থাকলেও সুদূর দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটকে গিয়ে মনের মানুষ ফ্রিজার সঙ্গে দেখা করা হয়নি সাইনুলের। তবে ফ্রিজা কিন্তু বাইরের দূরত্বের পরোয়া করেননি। গত শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে বাগডোগরা হয়ে সোজা পৌঁছে যায় সাইনুলের ঠিকানায়।

ফ্রিজার বিষয়ে কিছুই জানা ছিল না পরিবারের। ফলে কন্নড়ি মেয়েকে দেখে বেজায় অবাক হয় সাইনুলের পরিবারের সদস্যরা। নাছোড় মেয়েকে পছন্দ হয় সকলেরই। এরপরই সাইনুলের পরিবার যোগাযোগ করে ফ্রিজার পরিবারের সঙ্গে। এবং শনিবার বিকেলে বিয়ে হয় সাইনুল-ফ্রিজার।

পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে চমকে দিয়ে বিয়ে করে বেজায় খুশি সাইনুল। নতুন বউকে পাশে নিয়ে সাইনুল বলেন, “খেলায় আমরা শত্রু ছিলাম বটে।ওকে হারানোই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু ও খুবই ভাল যোদ্ধা। তাই আলাপ করতে ইচ্ছে হল। তারপরের ঘটনা তো এখন বাংলা থেকে কর্ণাটক সকলেরই জানা!”

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি