পায়রা প্রকল্প দেশের বিদ্যুৎ খাতে মাইলফলক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৪২, ১ নভেম্বর ২০২০
পায়রা প্রকল্পকে দেশের বিদ্যুৎ খাতে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরামর্শ দিয়েছেন, কাঁচামাল ব্যবহারে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে দেশের কয়লা ব্যবহার করার। আর আগামী ৩ বছরে আরও ২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
উৎপাদনের চালিকা শক্তি বিদ্যুৎ। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদুৎ চাহিদা বিবেচনায় রেখে পটুয়াখালীর পায়রায় শুরু হয় ১৩শ’ ২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে নির্মীত প্রকল্পটি এরই মধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মূল্যায়নে অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে জ্বালানী বিষয়ক ম্যাগাজিন এনার্জি এন্ড পাওয়ার। এতে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বৈশিষ্ট তুলে ধরেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, ইটস এ মাইলস্টোন প্রজেক্ট। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কুল ফায়ার এতো বড় একটা প্রজেক্ট। এটার ইম্পিলিটেশনে যে মাইলস্টোন অ্যাচিপ করেছে সেটা অন্যগুলিতে দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। অন্য আরেক বক্তা বলেন, তারপরেও যে ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি। আমাদের অরিজিন্যাল যে থিংকিং ছিল কয়লা আমরা সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো, সেটা আমরা ইতিমধ্যে দেখিয়ে দিয়েছি।
আলোচনায় উঠে আসে উৎপাদন খরচ কমানোসহ দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারের পরামর্শ।
এক বক্তা বলেন, সুতরাং কয়লার সরবরাহ উৎস এবং তাকে নির্দিষ্ট দামে পাওয়ার ব্যাপারটা সব সময় একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় পরিবেশকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লা ব্যবহার করে ওপেন করার সম্ভাবনার দিকটা এই স্ট্যাডির দিক থেকে ক্ষিন আশা আমি মনে করি ভবিষ্যতে দেবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানার নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন