পায়রা বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ, আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ
প্রকাশিত : ১৪:১৮, ২৬ মে ২০২৪
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সর্বোচ্চ ১০ নাম্বার মহাবিপদ সংকেত জারি করায় উপকূলীয় এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে, তারা যাচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রে। এদিকে, বন্ধ হয়ে গেছে পায়রা বন্দরের সকল কার্যক্রম।
পটুয়াখালীতে রোববার সকাল থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া সাথে বইছে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বিরামহীনভাবে মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাবার ঘোষণা করছে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা।
পায়রা বন্দরের উপপরিচালক আজিজুর রহমান জানান, বন্দরের সকল জলযান ও সম্পদ ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দরের সকল কার্যক্রম। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় একাধিক টিম গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলগুলোর আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যাদুর্গতরা আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। জেলায় মোট ৭০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩৫টি মুজিব কিল্লাসহ শতাধীক প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফ হোসেন জানান, বিভিন্ন পয়েন্টে ১০ কিলোমিটারের মতো বাধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি মেরামতের জন্য ছয়শ’ বস্তা জিও ব্যাগ ও লোকবল প্রস্তুত রেখেছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার দুর্গত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সন্ধ্যা নাগাদ অর্ধলক্ষ লোক আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম জানান, প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে লোক আসতে শুরু করেছে। দুপুর একটা পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ লক্ষাধীক লোক আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জানান, যারা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তাদের জন্য সরকারের তরফ থেকে খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন