পায়রা সমুদ্র বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা
প্রকাশিত : ১৬:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৬:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০১৬
বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো পায়রা সমুদ্র বন্দর। শনিবার সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর হবে। পাল্টে যাবে দক্ষিণের অর্থনৈতিক চালচিত্র। একই দিনে সারাদেশে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ৬ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচিসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের নৌ পরিবহবহন খাতকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের সম আয়তনের সমুদ্র অঞ্চল জয়, সমুদ্র সম্পদ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাণিজ্যিকভাবে বন্দর স্থাপন এরই অংশ। আর তারই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পয়রা।
গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে বন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, সমুদ্রবন্দরটি একসময় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে এবং বন্দরের চারপাশে গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা পাল্টে দেবে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়াসহ দেশের আরো পাঁচটি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের তত্ত্বাবধানে নিশ্চিত হলো শতভাগ বিদ্যুৎ। উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ উপজেলায় নিশ্চিত হবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ।
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের এই প্রকল্পে কারিগরি শিক্ষা আর শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটালাইজেশনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
একই সময় প্রধানমন্ত্রী যাত্রাবাড়ী-মাওয়া মহাসড়ক আট লেইনে উন্নীতকরণ ও পাঁচ্চর-ভাঙ্গা মহাসড়কে ৪ লেন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসব প্রকল্পে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর কারিগরি সহযোগিতারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন