পিসিওএসে ভুগছেন? কোন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন?
প্রকাশিত : ১০:৩৫, ৭ মার্চ ২০২২

অনেক অসুখের মধ্যে একটি অসুখের নাম পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রম (পিসিওএস)। তবে অনেকের চেয়ে এটি বেশ জটিল এবং এ হতে জন্ম হতে পারে হাজার সমস্যার। আর জীবনধারায় নানা বদলের কারণে সারা বিশ্বেই বাড়ছে পিসিওএসের সমস্যা।
এই সমস্যা জটিল হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তবে আনতে হবে জীবনযাত্রয় বেশ কিছু পরিবর্তন। এবং নতুন কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে অনেকটাই সুস্থ রাখা যায় শরীর।
চিকিৎসক সুত্রে জান যায় হরমোনের তারতম্যের কারণেই হয় পিসিওএস। কিন্তু নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া করতে পারলে তা থেকে অনেকটা মুক্তিও মেলে।
এমন কিছু উপাদান এ ক্ষেত্রে শরীরে প্রয়োজন, যা আমাদের রোজের খাবারে পাওয়া যায়। তবে সমস্যা হল যে যতটা পরিমাণে ও যে ধরনের সব খনিজ পদার্থ এবং পুষ্টির উপাদান শরীরে জরুরি, তা অনেক সময়ে শুধু খাওয়াদাওয়া করে পাওয়া যায় না।
এমন ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টেই হয়ে ওঠে ভরসা কেন্দ্র। তবে কতটা করে খাওয়া প্রয়োজন এই সব সাপ্লিমেন্ট, তা ঠিক করতে হবে আপনার শারীরিক অবস্থা বুঝে। তাই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
দেখে নেওয়া যাক কোন কোন সাপ্লিমেন্ট উপকারে আসে-
ইনোসিটল ও মায়ো-ইনোসিটল এক ধরনের সাপ্লিমেন্ট। এ হল ভিটামিনের মতোই একটি পদার্থ যা বহু ফল-সব্জিতে থাকে। ব্রাউন রাইস, লেবু, বিনের মতো নানা খাদ্যে পাওয়া যায় এটি। আবার গবেষণাগারে বানানোও যেতে পারে। এই উপাদানটি বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে, জরায়ুর কোনও সমস্যা থাকলে সারায়। আবার ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
সাপ্লিমেন্টের মধ্যে ওমেগা-৩ এ হল এমন একটি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করে। যেমন মানসিক অবসাদ কমায়, তেমন প্রদাহ থেকে হওয়া কোনও রোগ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। পিসিওএসের রোগীদের ক্ষেত্রে এই সাপ্লিমেন্ট গ্লুকোসের বিপাক বাড়াতে পারে। তার সঙ্গে কমাতে পারে খিদের অনুভূতি। যার ফলে কমবে ওজন। এবং পিসিওএস রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
ওজন কমানো যেহেতু এই রোগের চিকিৎসায় খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই বিপাক হার বাড়ানো জরুরি। চিনি এবং ফ্যাট জাতীয় খাবারে বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে ক্রোমিয়াম। রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রকোলি, বাদাম, চিংড়ির মতো কিছু খাবারে এই উপাদানটি সামান্য মাত্রায় পাওয়া যায়। তাই দেহে ক্রোমিয়ামের চাহিদা বেশি হলে সাপ্লিমেন্টের উপরেই বিশেষ ভাবে নির্ভর করা হয়।
তবে যেই সাপ্লিমেন্টই খান না কেনো তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শেই খেতে হবে।
সুত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ