পুনঃশুনানির উদ্যোগে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে অভিমত আইনজ্ঞদের
প্রকাশিত : ১৪:৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬
অবসরের পর সাবেক দুই বিচারপতির কাছে লেখার জন্য অপেক্ষমান পূর্ণাঙ্গ রায়ের পুণশুনানি’র বিষয়টিকে নজিরবিহীন বলছেন আইনজ্ঞরা। পুনঃশুনানির উদ্যোগ নেয়ায় বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলেও অভিমত তাদের। এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সংবিধান পরিপন্থী।
সর্বোচ্চ আদালতে রায় ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপেক্ষায় থ<ংঃৎড়হম>াকা ১৬৮টি মামলার পুনঃশুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, আগামী ২ মে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১৬১টি মামলা পুনঃশুনানির জন্য ১ ও ২ নম্বর বেঞ্চে রাখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬১টি মামলার রায় লেখার দায়িত্বে ছিলেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। বাকি সাতটি মামলার রায় লেখার দায়িত্ব ছিল সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের।
কেন এসব মামলার নতুন করে শুনানি হচ্ছে- এমন প্রশ্নে আইনজীবীরা বলছেন, ‘অবসরের পর রায় লেখা সংবিধানপরিপন্থী’ বলে প্রধান বিচারপতি যে মন্তব্য করেছিলেন, পুনঃশুনানির সিদ্ধান্ত তাঁর ওই বক্তব্যেরই প্রতিফলন। তবে এতগুলো মামলা পুন:শুনানীকে নজিরবিহীন বলছেন অনেকেই। আইনজ্ঞদের মতে, এতে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
তবে আগামী সোমবার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আশা তাদের।
আরও পড়ুন