পূর্বাচলে উন্নয়নের ধীরগতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
আবাসিক আর বাণিজ্যিক ভবন উঠবে ২৫ হাজার ১৬টি। দূতাবাস, বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ অফিসও যাবে পূর্বাচলে। উন্নয়নের ধীরগতির কারণে হতাশ এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা চান কাজের সুযোগ। উন্নয়ন এগুলেই সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান, এমন মত তাদের।
অনুমতি নেই। তবু ফাঁকা প্লটগুলোতে সুযোগ পেলেই ফল-ফসলের চাষাবাদ করেন রূপগঞ্জ আর কালীগঞ্জের কৃষকরা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সবজি খেতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
পর্যায়ক্রমে ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষের বাস হবে পূর্বাচলে। প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশন নিয়েও আছে নানা মত-অভিমত। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আর প্লট মালিকেরা ভবন নির্মাণ না করায় ক্ষুব্ধ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
এই জনগোষ্ঠী জানান, ভেতরের রাস্তাঘাটগুলো এখনও শেষ হয়নি। এখানে বিভিন্নজন এসে বিভিন্নভাবে হয়রানী হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে এই পূর্বাচল কেন্দ্রিক আশপাশের পরিবারগুলো ভালভাবে গড়ে উঠতে পারবে না।
রাজউক বলছে, উন্নয়ন থেমে নেই। সমাধানে লাগবে আরও দেড় বছর।
রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, পানি ও সুয়্যারেজের ব্যবস্থাটা করার কথা ছিল ঢাকা ওয়াসার কিন্তু তারা না করার ফলে আমরা গতবছর কন্ট্রাক্টে গিয়েছি। পিপিবির মাধ্যমে চার বছরের মধ্যে পানির কাজ শেষ হবে এবং বিদ্যুৎ এখন আমরা ওভারহেডের মাধ্যমে দিচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যে এটা আন্ডারগ্রাউন্ড করার পরিকল্পনা নিয়েছি। বাসবাড়িতে এখন গ্যাস সরকার দিচ্ছে না, তবে এলপি গ্যাসের মাধ্যমে দেওয়া যায় কি না সেটার কাজ আমরা করে যাচ্ছি। সুতরাং বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে, মানুষ এখন ঘরবাড়ি তৈরি করছে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমটা শুরু হলে এই শহরটা পরিপূর্ণতা পাবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন ও রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নূরুল হুদা বলেন, যেগুলো ডেভেলপট হয়ে গেছে সেগুলোর প্ল্যান পাস করে পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে দিতে হবে যে, এই সেক্টরগুলো আমাদের ডেভেলপ্ট হয়ে গেছে, এই এই সেক্টরগুলোতে আমরা প্ল্যান দিচ্ছি আপনারা সেখানে বাসাবাড়ি তৈরি করতে পারেন। তার সঙ্গে সঙ্গে যেগুলো ইনস্টিটিউশন প্লট আছে সেগুলোর মধ্যে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি দিতে হবে। তাদেরকে সময় নির্দিষ্ট করে দিয়ে বলতে হবে যে, তোমাদেরকে ইনস্টিটিউশন প্লট দেওয়া হয়েছে তোমরা তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু করো। এর সঙ্গে সঙ্গে বাইন্ডিং দিয়ে দিতে হবে। তাহলে কিন্তু আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সেখানে জনবসতি গড়ে উঠবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। অবিলম্বে ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে তোলার দাবি কাজ হারানো মানুষের।
পূর্বাচলের ১ থেকে ৩০ সেক্টর অবদি বহুসংখ্যক ফাঁকা প্লটে স্থানীয়রা ফলিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের সবজি। রাজউকের কর্মকর্তারা কিছু দিন পর পরই এসে ভেঙ্গে চুড়ে দেন এসব ক্ষেত খামার। যে কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
তাদের দাবি, হয় ফাঁকা জায়গায় নির্মাণ করা হোক বহুতল ভবন, নয়তো সবজি ফলিয়ে অর্থনীতিতে অবদানের সুযোগ করে দেওয়া হোক স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন