পেটের যন্ত্রণা উপশমে কাঁটনটে
প্রকাশিত : ১১:২৭, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮
কাঁটানটে একটি গুল্মজাতীয় কাঁটাযুক্ত বড় পাতাবিশিষ্ট আগাছা। এর রয়েছে অনেক গুণাবলি। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে কাঁটানটের ওষুধী ব্যবহার তুলে ধরেছেন। তা একুশে টেলিভিশন অনলাইনে তুলে ধরা হলো-
১) পোড়া ঘা- ১০ থেকে ১৫ গ্রাম কাঁটানটে গাছের টাটকা মূল এবং ২০ গ্রাম পাতা কোন মাটির বা স্টিলের পাত্রে রেখে তাতে ১৫০ মি.লি. পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। পানি ঠাণ্ডা হলে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে। এরপর তুলা অথবা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো চার-পাঁচ ভাজ করে ওই সেদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে পোড়া ঘায়ের ওপর বসিয়ে দিতে হবে। এভাবে কয়েকদিন করলে ঘা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
২) খোস ও পাঁচড়া- কাঁটানটের পাতা, কাণ্ড ও মূল ভালভাবে শুকিয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে সে ছাই নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে খোস-পাঁচড়ায় প্রয়োগ করলে এই দুটে চর্ম রোগ ভাল হয়।
৩) ফোঁড়া- কাঁটানটে গাছের কচি ডাল ও পাতা বেটে ফোঁড়ায় প্রলেপ দিলে মাত্র দুই-তিন দিনের মধ্যেই ফোঁড়া পেকে যাবে। দিনে একবার প্রলেপ দিলেই যথেষ্ট।
৪) গনোরিয়া রোগে- কাঁটানটের শেকড় তুলে এনে তা সামান্য পানি দিয়ে পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর তার সম্পূর্ণ রস আধা কাপ ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে দেড় চামচ চিনি বা মধু মিশিয়ে খেলে সুফল পাওয়া যাবে। ধাতুস্রাব, লিঙ্গের উত্তেজনা, জ্বালা ও টনটনানি হ্রাস করে।
৫) মাথা ধরায়- আট গ্রাম কাঁটানটের মূল এবং এক গ্রাম গোলমরিচ নিয়ে সামান্য কিছু পানি দিয়ে বেটে কপালে প্রলেপ দিলে মাথা ধরা সেরে যাবে।
৬) পেটে যন্ত্রণা- তিন-চার গ্রাম কাঁটানটের মূল এবং এক গ্রাম রসাঞ্জন। এ দুটি একত্রে রোজ একবার করে খেলে রোগী অবশ্যই উপকার পাবে।
৭) রক্তপ্রদরে- চার গ্রাম কাঁটানটের মূল এবং এক গ্রাম রসাঞ্জন। এ দুটি খুব ভালভাবে বেটে চাল ধোয়া পানিতে মিশিয়ে রোজ একবার করে খেলে রোগী দ্রুত উপকার পাবে।
পরিচিতি- কাঁটানটে বর্ষজীবী সূক্ষ্ম লোমযুক্ত গুল্ম শ্রেণির উদ্ভিদ। সাধারণভাবে এর কাণ্ড এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। কাণ্ড শক্ত গাঁটযুক্ত এবং কাঁটায় ভরা থাকে। গাছের পুষ্টদণ্ড লম্বা হয়। পাতার আকৃতি অনেকটা ছোট। পাতার আগার দিকটা ক্রমশ সরু। ফুলের রং ফিকে সবুজ, গুচ্ছবদ্ধ অবস্থায় থাকে।
/কেএনইউ/এসএইচ