ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রকল্প নিয়ে তোমাদের মাথাব্যথার দরকার নেই: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:০৮, ৬ জানুয়ারি ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা ও অধিকতর উন্নয়ন  প্রকল্পের কাজ  নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ মাসে বছর বলে মন্তব্য করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুব। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজর ধীর গতি নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীর যেসকল মৌলিক সুবিধা পাওয়ার কথা তার কোনোকিছুই তারা পাচ্ছেন না। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মন্ডল কৃষ্ণময় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে, মেইন গেট নির্মাণের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গেলে চিকিৎসক পাওয়া যায় না, ঔষধ পাওয়া যায়া না, কোনো টিএসসি নেই। একমাসের মধ্যে ক্যান্টিন চালু করা হবে বলার পর প্রায় তিনমাস পার হয়েছে কিন্তু এখনও ক্যান্টিন চালু হয়নি।”

এই শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকিছু আশ্বাসের উপর নির্ভর করে চলছে। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মৌলিক অধিকার থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছে এটা নিয়ে কি ভিসি স্যারের মাথা ব্যথা নেই। উনি কি সবকিছু আশ্বাস দিয়েই রেখে যাবেন।”

কিন্তু এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের বলেন, “তোমরা পড়ালেখা করো। এটা নিয়ে তোমাদের মাথা ব্যথার দরকার নাই। প্রকল্প প্রকল্পের গতিতে চলবে। এখানে ১৮ মাসে বছর, কিছু করার নেই। যে কনসালটিং কোম্পানি আছে তারা এবং তাদের কন্ট্যাক্টর ঢিলামি করে সাথে ইঞ্জিনিয়ারও ঢিলামি করে। এগুলো আবার সাব-কন্ট্রাক্টে চলে।”

মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের কাজ শুরু না হওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এখানে যেভাবে করার কথা সেভাবে হচ্ছে না। অলরেডি দুইবার টেন্ডার করা হয়েছে। তৃতীয়বার টেন্ডার খুলবো কিন্তু পারছি না। আমাদের যে এক্সপার্ট গ্রুপ দরকার তা খুঁজে পাচ্ছি না।’

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ডাঃ অভিষেক বিশ্বাস নিয়মিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পরেও কেন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার হবে না জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, “তার মতো ডাক্তার আমি ফেলতে পারবো না। সে অসুস্থ। সে আমার কাছ থেকে উইদাউট পে ছুটি নিয়েছে। এখন আমার কিছু করার নেই। উনি সিনিয়র ডাক্তার।”

এ নিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, “রিজেন্ট বোর্ড হলেই আমরা নতুন দুইজন ডাক্তার নিয়োগ দিবো। আর অভিষেক বিশ্বাস অত্যন্ত ভালো মানের ডাক্তার। নতুন যে দুইজন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে সেই ডাক্তারদের ডা. অভিষেক পড়াতে পারে।”

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি