ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রখ্যাত আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সৃষ্টি করেন নতুন এক ধারা

প্রকাশিত : ১১:৪০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১১:৪০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ; বাবা আলাউদ্দিন খান নামেও পরিচিতি তার। ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত সংগীত পরিবারে জন্ম আলাউদ্দিন খাঁ’র। সেতার, সানাই এবং রাগ সঙ্গীতের বিখ্যাত ঘরানার গুরু হিসেবে প্রখ্যাত আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সৃষ্টি করেন নতুন এক ধারা। অসংখ্য রাগরাগিনীসহ উদ্ভাবন করেন সঙ্গীতের অতুলনীয় কিছু বাদ্যযন্ত্রেরও। সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, যার মোহিনী সুরে আজও মুগ্ধ উপমহাদেশসহ বিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীরা। সরোদ-নির্ভর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গুনী এই শিল্পী সিদ্ধহস্ত ছিলেন সাক্সোফোন, বেহালা, ট্রাম্পেটসহ আরো অনেক বাদ্যযন্ত্রে। শৈশবে সঙ্গীতে হাতেখড়ি তার বড় ভাই ফকির আফতাবউদ্দিন খাঁ’র কাছে। সুরের অমোঘ টানে ১০ বছর বয়সে পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। কলকাতা গিয়ে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন সঙ্গীতসাধক গোপালকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ওরফে নলো গোপালের। ১৯৩৫ সালে বিশ্বখ্যাত নৃত্যশিল্পী উদয়শঙ্করের সঙ্গে বিশ্বভ্রমণে বের হন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। উপমহাদেশের সঙ্গীত-ঐতিহ্য তুলে ধরেন বিশ্বদরবারে। বৃটিশ রাণীর কাছ থেকে পান সুরসম্রাট খেতাব। ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মভূষণ ছাড়াও পদ্মবিভূষণ, বিশ্ব ভারতীয় দেশীকোত্তম আর দিল্লী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী। সেতারে সরোদের বাদনপ্রণালী প্রয়োগ করে সুরসম্রাট সঙ্গীতজগতে প্রবর্তন করেন নতুন ঘরানা; যা ‘আলাউদ্দিন ঘরানা’ বা ‘মাইহার ঘরানা’ নামে পরিচিতি লাভ করে। চন্দ্রসারং, সুরশৃঙ্গারসহ নানা বাদ্যযন্ত্র উদ্ভাবনের পাশাপাশি হেমন্ত, দুর্গেশ্বরী, মেঘবাহার, প্রভাত কলিসহ অনেক রাগরাগিণীর স্রষ্ট্রা সুরের এ জাদুকর।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি