ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রতারণার মুল হোতা সিআইডির জালে

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫৪, ২১ জুন ২০২৩

আকিজ জুট মিলস, জনতা জুট মিলসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তার নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়কারী চক্রের মূল হোতা মোসাদ্দেক হোসেন রাশেদ (৩৪)কে গ্রেফতার করেছে যশোর (ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সিআইডির একটি দল। 

যশোর বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদের দিকনির্দেশনায় এবং পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য ও প্রযুক্তির সাহায্যে সোমবার রংপুরের হারাগাছা ও গঙ্গাচড়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মোসাদ্দেক হোসেন রাশেদ রংপুর জেলার হারাগাছা থানার জম চওড়া গ্রামের মৃত আবু আওয়ালের ছেলে।

সিআইডির তথ্য সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে আকিজ জুট মিলস, জনতা জুট মিলসের ভূয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের বিষয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে গত ১৬ এপ্রিল যশোরের অভয়নগর থানায় একটি মামলা হয়। মামলা নং-২১।

বিষয়টিতে সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গত ৩০ মে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়কারী চক্রের সহযোগী মাসুদার রহমান (৩৩)কে আটক করে। সে রংপুর সদরের ময়নাকুটি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।

সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসাদ্দেক হোসেন রাশেদ দীর্ঘদিন যাবৎ যোগসাজশে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আকিজ জুট মিলস, জনতা জুট মিলসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ও পরিচয় ব্যবহার এবং ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার ও ইউপি পরিষদের নাম ব্যবহার করে অসৎ উপায়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। 

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ০১৭৬১-৪৬০৭২৯ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে আকিজ জুট মিলসের চেয়ারম্যান, আকিজ গ্রুপের অভয়নগর ফ্যাক্টরীর নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম ও ম্যানেজার  (মেকানিক্যাল) বছির আহম্মেদসহ জনতা জুট মিলসে নির্বাহী পরিচালক হেলাল আহম্মেদসহ বিভিন্ন জুট মিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিচয়ে আকিজ জুট মিল হতে প্রতারণা করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

তাছাড়া আকিজ জুট মিলের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট গ্লোরী ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের মোমিনুল ইসলাম, একাউন্টস অফিসার মিলন কুমার ঘোষ, সিনিয়র অফিসার আমিনুল ইসলাম, মার্কেটিং অফিসার মাসুদুর রহমান পরিচয়ে তাদের অফিসের অন্যান্য স্টাফদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। 

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত মোসাদ্দেক হোসেন রাশেদ একজন পেশাদার প্রতারক। সে ও তার সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিচ্ছিল। 

উক্ত আসামিকে মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি