প্রতি বছর হৃদরোগের ঝুঁকিতে দেড় লাখ মানুষ
প্রকাশিত : ২৩:৩২, ২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৪:১৫, ৩ এপ্রিল ২০১৮
প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি মানুষ হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন। রক্তে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণের জন্য যে স্টাটিন ঔষদের দরকার বেশিরভাগ মানুষই তা গ্রহণ করেন না। আর এ কারণেই দিন দিন হৃদরোগ জনিত অসুখে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রক্তে কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে স্ট্যাটিন। এর ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মত রোগের ঝুঁকি অনেকখানি কমে যায়।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে ২০১৩ সাল থেকে চিকিৎসা সেবা নেওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনেরই এই স্টাটিন ঔষুধের প্রয়োজন আছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে রোগীদের এই ঔষুধ সেবনে উল্লেখ করেন না।
কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ রোগীরই রোগ নিরাময় যোগ্য। এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ৬২ হাজার হলেও এদের বেশিরভাগই সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে জানায় যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ।
দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর হেলথ এন্ড কেয়ার এক্সিলেন্স থেকে দেওয়া নীতিমালা অনুযায়ী, ১০ বছরের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন এমন সম্ভাবনা যদি ১০ শতাংশও কোন ব্যক্তির মধ্যে থাকে তাহলে তাকে স্ট্যাটিন ঔষুধ দিতে হবে।
যুক্তরাজ্যে এমন অন্তত ৩৯ লক্ষ মানুষ আছেন যাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্তত ২০ শতাংশ। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র অর্ধেক সংখ্যক রোগীকেই স্ট্যাটিন সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মদ্যপান অথবা ধূমপানের মত কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকখানি কমানো যায়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতি ৭ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন স্ট্যাটিন ঔষুধ সেবন করছেন।
দেশটির রয়্যাল কলেজ অব জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক হেলেন স্টোকস বলেন, “হৃদরোগ ইস্যুতে আমাদের কলেজ অবগত আছে এবং প্রতিনিয়ত নজর রাখছে। পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থার ওপর আমরা কাজ করছি”।
আর যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার চিকিৎসক ড. ম্যাট কেয়ারনি বলেন, “এই ধরনের রোগের চিকিৎসায় প্রতি রোগীর জন্য আলাদা আলাদা উপায়ে চিকিৎসা করা হয়। আর তাই মাসিক ভিত্তিতে ঔষুধ দেওয়ার পরিকল্পনাটা তাই একটু জটিল”।
হৃদরোগ মোকাবেলায় যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ হাইপোটেনশন সোসাইটির সভাপতি ফ্রানসেস্কো কাপাকিও। তিনি নিজে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সেবা নেওয়ার পর এই কার্যক্রমকে ‘জটিল’ এবং ‘বিরক্তকর’ হিসেবে মন্তব্য করেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল
//এস এইচ এস//টিকে