প্রতিপক্ষ কোচের নাক টেনে শাস্তির মুখে মরিনহো
প্রকাশিত : ১৬:০১, ৪ এপ্রিল ২০২৫

ফুটবল মাঠে উত্তেজনার রেশ যেন কাটছেই না! বদরাগী স্বভাবের জন্য পরিচিত হোসে মরিনহো। তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাখে যোগ দেওয়ার পর থেকে নানা রকম বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। বাষট্টি বছর বয়সেও সেই বদরাগী মেজাজ ধরে রেখেছেন পর্তুগিজ এই কোচ। এবার শিরোনামে প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে অশোভন আচরণের কারণে। ম্যাচ হেরে প্রতিপক্ষ দলের কোচের নাক চেপে ধরেন মরিনহো।
বুধবার (২ এপ্রিল) তুর্কি কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ফেনেরবাখের প্রতিপক্ষ ছিল গালতাসারে। ইস্তাম্বুল ডার্বিখ্যাত সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ ২-১ হেরে প্রতিপক্ষ দলের কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন মরিনহো।
শুধু তাই নয়, গালতাসারের কোচ ওকান বুরুকের নাকে দুই আঙুল দিয়ে চেপে ধরেন মরিনহো। তা নাটকীয় মোড় নেয় যখন সেই কোচ মুখ সরিয়ে নেওয়ার পর মাটিতে পড়ে যান। পুরো ঘটনায় বিরক্ত তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন।
ম্যাচ শেষে ওকান বুরুক বলেন, ‘আমি যখন চলে যাচ্ছিলাম, সে পেছন থেকে এসে আমার নাক পিষে দেয়। হালকা একটু আঁচড় লেগেছে নাকে। অবশ্যই এটা খুব ভালো ও স্টাইলিশ কিছু নয়! আমি বাড়িয়ে বলতে চাই না, তবে খুব স্টাইলিশ কিছু ছিল না এটি।’
মরিনহোর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ‘প্রতিপক্ষ কোচকে আক্রমণ’-এর অভিযোগ এনেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে ৪৫ থেকে ৯০ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বেন মরিনহো। ৫ থেকে ১০ ম্যাচে নিষিদ্ধও হতে পারেন এই পর্তুগিজ কোচ, যার অর্থ ফেনেরবাখের বাকি মৌসুমে আর মাঠে থাকতে পারবেন না তিনি।
তুরস্কের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের আগের বহু লড়াইয়ের মতো এ দিনও ম্যাচজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারবার। খেলা বন্ধও হয়েছে দফায় দফায়। পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়। হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে দুই দলের তিন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানো হয় ম্যাচের শেষ দিকে।
এমবি//