প্রথমবার ইউরোপে যাচ্ছে শার্শার হিমসাগর আম
প্রকাশিত : ১০:০৮, ১৫ মে ২০২৩
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপে যাচ্ছে যশোরের শার্শার বিষমুক্ত হিমসাগর আম।
রোববার (১৪ মে) দুপুরে শার্শা উপজেলার বাইকোলা গ্রামের আমচাষি আবু নাঈমের বাগান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক টন আম এসিআই লজিস্টিক কোম্পানির মাধ্যমে ইউরোপে রপ্তানি শুরু হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মণ্ডল, সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার ফরহাদ শরিফ, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আনিছুর রহমান, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হাদিউজ্জামান শাহিনসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ বছর ফলন বেশি হলেও বাজার দরে খুশি নন আমচাষিরা। আবহাওয়ার আর মাটির কারণে দেশের অন্য জেলার তুলনায় শার্শায় আম আগে ভাগেই পেঁকে থাকে। সে কারণে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আনুষ্ঠানিকতায় গত ৫ মে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, খিরসরাই, বৈশাখীসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিপক্ক নিরাপদ আম পাড়া শুরু হয়। আর ১০ মে থেকে পাড়া শুরু হয়েছে হিমসাগর আম।
এই হিমসাগর আমের রাজধানী ঢাকাসহ দেশে ও বিদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা। আগামি ১ জুন থেকে শুরু হবে আমের রাজা ল্যাংড়া পাড়া।
এ বছর প্রথম বারের মত শার্শায় বিষমুক্ত সুস্বাদু নিরাপদ মোট ১০০ টন আম রপ্তানি হবে ইউরোপের বাজারে। রোববার প্রথম দফায় এক টন আম ইউরোপে রপ্তানি শুরু হয়েছে।
কৃষক আবু নাঈম জানান, এ বছর তিনি ৩ একর জমিতে হিমসাগর আমের আবাদ করেছেন। এবার আমের ফলন বেশি, তবে বাজারে দাম ভালো না পাওয়ায় খুশি নন তিনি। তবে এসিআই লজিস্টিক কোম্পানি প্রথম দফায় তার বাগান থেকে ১ টন হিমসাগর আম ইউরোপে রপ্তানির জন্য ক্রয় করেছে। দাম বেশি হওয়ায় খুব খুশি কৃষক নাঈম।
প্রথম চালানের আম সুইডেনে গেলেও পর্যায়ক্রমে জার্মান, ফ্রান্স, ইতালিসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বাজারে বাজারজাত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসিআই লজিস্টিকের প্রতিনিধি হাদিউজ্জামান শাহিন জানান, অধিকাংশ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব কৃষকদের কাছ থেকে এক মণে ৮ কেজি নিয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগের দোহাই দেখিয়ে কৃষকদের জিম্মি করে আমের দাম কম দিয়ে ঠকানো হচ্ছে। এটা থেকে কৃষকদের বাঁচানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এই আম ইউরোপে পাঠানোর।
এতে করে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন, লাভবান হবেন, পাশাপাশি কৃষকের উন্নয়ন হবে বলে জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার জানান, এ বছর উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবার শার্শা থেকে হিমসাগর আম ইউরোপে রপ্তানি শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ন্যাংড়া ও আম্রপালি মিলে মোট ১০০ টন আম ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন