প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারে ভূষিত ধানদিয়া ইনস্টিটিউশন
প্রকাশিত : ১০:৩৮, ১৭ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১০:৪০, ১৭ নভেম্বর ২০২১
বৃক্ষ রোপণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে সাতক্ষীরার কলারোয়ার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত শতবর্ষি এ প্রতিষ্ঠানটি। ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সাথে দীর্ঘপথ অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন-২’র এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আজিজুর রহমান এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন। সেই শ্রদ্ধাবোধ থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে আগলে রেখেছেন তিনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বৃক্ষ রোপণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার জাতীয় পুরস্কার-২০১৯ প্রদানের জন্য ১০টি শ্রেণীতে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।
প্রতিটি শ্রেণীতে পুরস্কারপ্রাপ্তকে একটি সনদ, একটি ক্রেস্টসহ প্রথম পুরস্কারের জন্য ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য ২০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য ১৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হবে। যৌথভাবে পুরস্কারপ্রাপ্তরা অর্ধেক অর্থ পাবেন এই মর্মে প্রঞ্জাপন জারি করা হয়েছে।
ক শ্রেণীর প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে কলারোয়ার ধানদিয়া ইনস্টিটিউশন। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে নরসিংদীর শিবপুরের কাজী মফিজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়। তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেছে পটুয়াখালীর শিয়ালী তালেমুন কোরান নুরানী ও হফেজিয়া মাদ্রাসা।
খ শ্রেণীতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে পটুয়াখালীর মৌকরণ বিএলপি ডিগ্রি কলেজ। দ্বিতীয় পুরস্কার পটুয়াখালীর লাউখাঠী আছমত আলী খান কলেজ এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে খুলনার দিঘলিয়ার মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ।
এ বিষয়ে ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আজিজুর রহমান বলেন, শতবর্ষি এই প্রতিষ্ঠানটি তার নিজস্ব গতিতে চলছিলো, আমি এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পরে সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করি। পরিবেশ রক্ষা ও ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে মনোযোগী করার ক্ষেত্রে মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়।
সারাদেশের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ধানদিয়া হাইস্কুল প্রথম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসীদের জন্য গর্বের বিষয়, বলেন তিনি।
এ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ১৭.৫ বিঘা জমি। যা বৃক্ষরোপণের জন্য উপযুক্ত। আর সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
এএইচ/
আরও পড়ুন