ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রবাল প্রাচীর রক্ষায় এবার সাগরতলে নেমেছে রোবট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৫, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৫৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল প্রাচীর রক্ষায় এবার সাগরতলে নেমেছে রোবট রেইঞ্জারবট। অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে প্রবাল খেকো তারামাছ ধ্বংসের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কোরাল ব্লিচিং, পানির গুণাগুণ, দূষণ পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে রোবটটি। গবেষকরা বলছেন, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এ যন্ত্র।

প্রকৃতির বিস্ময় অস্ট্রেলিয়ার- গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। বৃষ্টি বনের সঙ্গে সাগরের নীল জল- মিলে একাকার। উত্তর-পূর্ব উপকূলে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার জুড়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার। সাগরতলে যেন অন্য এক পৃথিবী। সবচে বড় এই প্রবাল প্রাচীরে ৪শ’ রকমের প্রবাল, ১৫শ’ প্রজাতির মাছ আর ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির মলাস্কা পর্বের প্রাণীর বাস।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ক্রাউন অব থ্রনস নামে তারামাছ জীববৈচিত্র্যের এই স্বর্গে হানা দিচ্ছিল বহু দিন থেকেই। তবে এবার এই প্রবাল খেকো তারামাছ ধ্বংস করতে সাগরে নেমেছে রোবট রেইঞ্জারবট। সাবমেরিনে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাগরের তলদেশে, সংগ্রহ করছে প্রবাল ধ্বংসের নানা তথ্য।

ম্যাল্টি ফাংশন এই ওশান ড্রোনটি তৈরি করেছেন কুইন্সল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। রেইঞ্জারবট বিশ্বের প্রথম পানির নিচে বিচরণকারী রোবট। এটি কোরাল ব্লিচিং, পানির গুণাগুণ, কীটপতঙ্গ, দূষণ ও পলি জমা পর্যবেক্ষণ করতে পারে।

ব্যাটারির সময়সীমা ৮ ঘণ্টা হলেও প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে দ্রুততার সাথে প্রবাল প্রাচীরের অনেক বড় অংশ ম্যাপ করতে পারবে রোবটটি।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, তারামাছসহ নানা কারণে গেল ৩০ বছরে এরইমধ্যে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি প্রবালের মৃত্যু ঘটেছে। এভাবে চললে ২০৭০ সাল নাগাদ হারিয়ে যাবে সাগরতলের প্রবাল।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি