প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়ল
প্রকাশিত : ২৩:৪৮, ৩১ মে ২০২৩
রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলারের দর আরও বাড়াল ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার থেকে প্রবাসী আয়ে ডলার প্রতি মিলবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা, এতদিন যা ১০৮ টাকা ছিল। আর রপ্তানি বিল নগদায়নে এক টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল কেনার গড় দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করা হবে।
বুধবার ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার যৌথ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।
ডলারের দর বেড়ে প্রবাসী আয়ে ১১৪ টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় গত সেপ্টেম্বর থেকে নিজেরা বসে দর ঠিক করে আসছে ব্যাংকগুলো। যদিও অনেক ব্যাংক নির্ধারিত দরের বেশি দর দিচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েক দফায় সতর্ক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ গত ২১ মে বিএফআইইউ ৭টি ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডেকে সতর্ক করে বলেছে, আগামীতে কোনো ব্যাংক বাড়তি দরে ডলার কিনলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জরিমানা করা হবে।
প্রতিবছর ঈদ ও রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়ে প্রবাসী আয়। তবে এবার ঈদের মাস এপ্রিলে মাত্র ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাস বা আগের মাসে যা ছিল ২ বিলিয়নের ওপরে। মে মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত এসেছে ১৪২ কোটি ডলার। এরকম অবস্থায় দর বাড়াল ব্যাংকগুলো। আইএমএফের শর্তের কারণে পর্যায়ক্রমে সব ক্ষেত্রে ডলারের দর একই করা হবে।
বাজারে ডলার সংকট পরিস্থিতির উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে রেকর্ড প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। গত অর্থবছরে বিক্রি করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ রয়েছে ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে যা ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার ছিল। আর ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের এ হিসাব দেখালেও আইএমএফের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় বর্তমানে নিট রিজার্ভ রয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারের মতো।
কেআই//
আরও পড়ুন