প্রভুর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক তৈরির মাধ্যম হজ
প্রকাশিত : ১২:৫২, ২৬ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২১:২৮, ৪ আগস্ট ২০১৭
হজ হলো মহান প্রভুর সঙ্গে বান্দার প্রেমের গভীর সম্পর্ক তৈরির অনন্য এক মাধ্যম। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- ইচ্ছা করা বা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া।
বিশ্বের সামর্থ্যবান সব মুসলিমের জন্য হজকে আবশ্যকীয় (ফরজ) ইবাদত।এটি ইসলামের সর্বশেষ ও পঞ্চম স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নারী ও পুরুষের জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ।
হজ হলো মুসলিম উম্মাহর যৌগিক ইবাদত। যে ইবাদতে একজন মুসলমানকে প্রথমত আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে হয়, এরপর থাকতে হয় শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা। এ ইবাদত পালনে একজন মুসলিমকে অর্থ ব্যয়, শারীরিক পরিশ্রম এবং পরিবার-পরিজনের ভালোবাসা ত্যাগ করে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।
আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হয়ে এ হজ সম্পাদন করতে হয়। এর জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট সময়ও। আল্লাহ তাআলা হজ সম্পাদনের বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেন-
‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময় এতে রয়েছে মকামে ইবরাহিমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ৯৬ ও ৯৭)
হিজরি (আরবি) বছরের জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হলো হজের জন্য নির্ধারিত সময়। এ পাঁচ দিন মুসলিম উম্মাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে বর্তমান সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং মক্কার নিকটবর্তী মিনা প্রান্তর, আরাফাতের ময়দান এবং মুযদালিফায় অবস্থান করে নির্ধারিত কর্ম সম্পাদন করতে হয়।
এ ইবাদত সুন্দর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য আল্লাহ তাআলা প্রথমেই বান্দাকে বাইতুল্লায় পৌছার ক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি সুস্পষ্ট করেছেন। অতঃপর শারীরিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাই হজের উদ্দেশ্যে বাইতুল্লাহ অভিমুখে রওয়ানা হবেন। এমনটিই কুরআনে পাকের ঘোষণা।
হজে রওনা হওয়ার আগেই হজ পালনেচ্ছু ব্যক্তিকে হজের প্রস্তুতি নিতে হয়। এ প্রস্তুতির মধ্যে থাকবে যথাক্রমে ব্যক্তিগত, শারীরিক, আর্থিক, অফিসিয়াল এবং হজ সম্পাদনে পালনীয় ও করণীয় যাবতীয় বিষয়সমূহ।
সারা বিশ্ব থেকে শারীরিক ও আথির্কভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এ হজ সম্পাদনে ৩টি ফরজ, ৫টি ওয়াজিব এবং সুনির্দিষ্ট কিছু সুন্নাত কাজ আদায় করতে হয়।
আমাদের হজের আগেই হজের করণীয় কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করার প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দান করুন। হজের জন্য দুনিয়ার যাবতীয় মোহ ও মায়া ত্যাগ করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
//আর//এআর