ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তির ব্যবহারে মশার আবাসস্থল নির্ধারণ সহজ হচ্ছে : চসিক মেয়র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৭, ১১ জুলাই ২০২৩

ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে ছাদ পর্যবেক্ষণ করে মশার আবাসস্থল খুঁজে পাওয়া সহজ হওয়ায় ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনরা।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে.বি. আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের উদ্যোগে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনার নিশ্চিতকরণ ও ডেংগু চিকিৎসা সুবিধা সহজীকরণ এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তারা এ পরামর্শ দেন।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় চসিকের প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরৃন্দ, চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধানসহ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরামর্শের প্রেক্ষিতে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ড্রোনের কারণে প্রতিটি বাড়িতে সিড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে হচ্ছেনা। খুব অল্প সময়েই অনেকগুলো বাড়ির ছাদে মশা জন্মানোর মতো পানি আছে কী না তা খুঁজে বের করা যাচ্ছে। এ সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে মশার আবাসস্থল নির্ধারণে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে। পাশাপাশি মশা নিধনে ঔষধ ক্রয় ও প্রয়োগেও বিশেষজ্ঞ মতামত ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘জরিমানার মতো শাস্তিমুলক পদক্ষেপের চেয়ে জনসচেতনতায় জোরারোপ করছি আমি। ড্রোন দিয়ে ছাদে পানি দেখলে বাড়ি মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। তবে, যাদের ছাদে খুব বেশি দিন পানি জমে আছে কেবল তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান আছে। করোনা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, সন্ধ্যার মধ্যে যেভাবে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করেছি সেভাবে সবাইকে নিয়ে ডেংগুও প্রতিরোধ করব।

সভায় মেয়র জানান, সকল আবাসিক ও মহল্লা কমিটির সভাপতি বা, সম্পাদক বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়ে মহল্লা ও আবাসিকে বসবাসরত ভবন মালিক ও ভাড়াটিগাগণকে ডেংগু বিষয়ে সচেতন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে মহল্লা ভিত্তিক সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করছেন। সিভিল সার্জনের কাছ থেকে ডেংগু রোগীর তথ্য গ্রহণপূর্বক রোগীর কর্মস্থল ও বসবাসস্থলের আশেপাশে বিশেষ মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কুইক রেসপন্স টীম গঠন করা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গান তৈরী করে ডেংগু বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে ” নির্মাণাধীন বাড়ির নীচতলা ও ছাদ, ছাদবাগান কিংবা কোন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের পরিত্যক্ত স্থানে পানি জমে থাকায় ৫ জুলাই থেকে ১০ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত ৪টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯ জনকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী চট্টগ্রামের সবগুলো স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ডেংগুর জন্য বিশেষায়িত সেবা চালুর আহ্বান জানান।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি