প্রলোভনে সম্পর্ক, অতঃপর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি
প্রকাশিত : ০৯:৫৭, ২১ নভেম্বর ২০২৩
অভিযুক্ত সাকিব হোসেন
মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভনে এক মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের পর এখন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এক সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে।
সোমবার বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে গেলে ওই মেয়েকে মারধর করে বের করে দেয়া হয় বলেও জানায় মেয়েটি। পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন মানসম্মানের ভয়ে নিজ বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখে মেয়েটিকে।
মাদারীপুরের কালকিনির উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে মেয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, একই এলাকার হেমায়েত হোসেনের ছেলে সেনাসদস্য সাকিব হোসেনের (২৪) সাথে প্রায় দেড় বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই মেয়ের। সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এর পর হঠাৎ মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সাকিব। ফলে মেয়েটি বাধ্য হয়ে সাকিবের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে বের করে দেয় সাকিবের পরিবার।
এ বিষয়ে সাকিবের মা জানান, ছেলের এসব ঘটনা তারা জানেন না। ছেলে কোথায় থাকে তাও তিনি বলতে রাজি নন। তবে মেয়েটিকে কোন মারধর করা হয়নি, বরং মেয়েটি এসে তাদের বাড়িতে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মেয়ের পরিবার জানায়, যদি ওই ছেলে মেয়েটিকে বিয়ে করে তবে তাদের কোন আপত্তি নাই।
এলাকাবাসীরা জানান, এর আগেও ওই সেনাসদস্য সাকিব পার্শ্ববর্তী শিকারমঙ্গল বাজারের কাছে এক পুলিশ সদস্যের মেয়ের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ওই ঘটনা ৪ লাখ টাকায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সেনাসদস্য সাকিবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে যাতে কোন নিউজ না করা হয় সেজন্য সাংবাদিকদের অনৈতিক প্রস্তাবও দেন তিনি।
এ ঘটনার বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, যেহেতু মেয়েটি এখন তার পরিবারের কাছে রয়েছে, সেহেতু আমাদের কিছু করার নেই। তবে মেয়েটি বা তার পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন