প্রশ্নপত্র জালিয়াতির মূল হোতা আওয়ামী লীগ : রিজভী
প্রকাশিত : ১৮:৩১, ২২ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৩১, ২২ অক্টোবর ২০১৭
আওয়ামী লীগকে প্রশ্নপত্র জালিয়াতির মূল হোতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, `দেশজুড়ে সব প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির মূল হোতা আওয়ামী লীগ। দেশকে পরনির্ভরশীল করতেই তারা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।‘ আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ”প্রশ্ন ফাঁসের পেছনে সরকারি দলের রাঘববোয়ালরা জড়িত থাকায় কোনোভাবেই প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হচ্ছে না। এই শিক্ষামন্ত্রীর আমলেই প্রশ্ন ফাঁসের মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্রমবিস্তার আরো প্রসারিত হচ্ছে দিন দিন। গত ১০ বছরে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন, বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন, এসএসসি, এইচএসসি, জেএসসি, পিইসি, এমনকি নার্সিং পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। কোনো কোনো পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও শিক্ষামন্ত্রী নির্লজ্জের মতো তা অস্বীকার করে পরে জনমতের চাপে সেই পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন।”
প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির মূল হোতারা ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় আজ পর্যন্ত এসব ঘটনার বিচার হয়নি বলেও জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। তিনি বলেন, ”গত ১০টি বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সব ধরনের প্রশ্ন ফাঁসে যে ক্ষমতাসীনরা জড়িত, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো গত শুক্রবার ঢাবির `ঘ` ইউনিটের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও জালয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক রানা, হল শাখার নাট্য সম্পাদক মামুনসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার।”
তিনি আরো বলেন, “শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। জাতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। সরকার দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে একে একে ধ্বংস করছে। সবচেয়ে বেশি নৈরাজ্য চলছে, দলীয়করণ করে শিক্ষার মান ধ্বংস করা হচ্ছে। ঢাবিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবীদের রেখে ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আবার পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিতে বোর্ড থেকে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষকদের।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক মনির উদ্দিন, আবদুস সালাম প্রমুখ।
এমআর / এআর
আরও পড়ুন