প্রশ্নপত্র ফাঁস : নার্সিং পরীক্ষা বাতিল
প্রকাশিত : ২২:৪৭, ৭ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪১, ৮ অক্টোবর ২০১৭
অবশেষে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে নার্সিং পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরীক্ষা বাতিলের কথা জানানো হয়।
শনিবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) শেখ সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনিবার্য কারণবশত এ পরীক্ষা বাতিল করার কথা উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পদের এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) টাইপ লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত বাতিল করা হলো। পরবর্তীতে অনুষ্ঠেয় উক্ত পদের এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার নাম তারিখ ও সময় যথাসময়ে জানানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় এ পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
শুক্রবার পরীক্ষার দিনই প্রশ্নফাঁসের সংবাদ ছড়িয়ে পরে।
তখন পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগকে গুজব বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, সব পরীক্ষার আগেই কিছু কালপ্রিট রয়েছে যারা এ ধরনের গুজব তৈরি করে এবং কিছু মানুষ রয়েছে এগুলো দিয়ে পয়সা বানায়। আমাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা প্রশ্নপত্র এক সেট তৈরি করি না, একাধিক সেট করি এবং লটারি করে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেওয়া হয় পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা আগে। আমি নিজেও আজ সারাদিন অফিসে ছিলাম, এটাকে গুজব বলে আমরা মনে করছি।
এদিকে, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন নেতা জড়িত বলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আসছিলেন। তাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই নেতারা ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব প্রশ্ন বিক্রি করেন।
এবার ১৬ হাজার ৯০০ জন নার্স পরীক্ষায় অংশ নেন। এখান থেকে ৪ হাজার ৬০০ জনের নিয়োগ পাওয়ার কথা। রাজধানীর মোট ১০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন