ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে টিআইবির ৯ সুপারিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১০, ১ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:০৩, ২ এপ্রিল ২০১৮

আসন্ন এইচএসসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ৯টি সুপারিশ করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

আজ রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ থেকে টিআইবির রিসার্চ পরিচালক রফিকুল হাসান সুপারিশগুলো তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে তিনি বলেন, আইনগতভাবে অনেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ থাকলেও যে মাত্রায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সে মাত্রায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দৃষ্টান্ত নেই। 

তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ সময়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিতরণের অভিযোগে শিক্ষক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী পর্যায়ে শাস্তির উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। বাস্তবে ফাঁস প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টরা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে যান। ফলে প্রশ্নফাঁস রোধে তা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। 

টিআইবির সুপারিশ সমুহ-

১.‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) (সংশোধন) আইন, ১৯৯২-এর ৪ ধারা পুনরায় সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা পূর্বের মতো সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রণয়ন এবং নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা।  

২. কোচিং সেন্টার নিষিদ্ধকরণে সরকারের ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিংবাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২-এর অস্পষ্টতা দূর করা এবং কোচিংবাণিজ্যে বন্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা।

৩. প্রশ্নফাঁস রোধ ও সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গাইডবইয়ের আদলে প্রকাশিত সহায়ক গ্রন্থাবলি বন্ধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

৪. তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তদারকি বাড়ানো ও প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি নিশ্চিত করা।

৫. ধাপ কমিয়ে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের কাজটি পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা এবং পরবর্তী সময় সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা।

৬. প্রশ্নফাঁস নিয়ে গঠিত যে কোনো তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭. শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাগত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

৮. প্রশ্নফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্নব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

৯. পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট রাখা। 

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি