প্রসেনজিৎকে ‘শ্মশানের ডোম’ বলে আক্রমণ
প্রকাশিত : ১০:৪০, ২ এপ্রিল ২০২২
সম্প্রতি টালিউডের জনপ্রিয় তারকা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল টালিউড। মৃত্যুর আগে এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘ইন্ডাস্ট্রির এক দাদা আর দিদি’ তার কেরিয়ার নষ্ট করেছেন। এবার সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ শক্ত শব্দেই আক্রমণ করলেন প্রযোজক রানা সরকার।
অভিষেক চলে যাওয়ার পরে শাশ্বতর ‘অপুর সংসারে’ বলা তার কথাগুলো ‘ইন্ডাস্ট্রির এক দাদা আর দিদি’ কেরিয়ার নষ্ট করেছে-এর ভিডিও ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার নাম না নিয়ে এর আগেও এটি নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন রানা। শুক্রবার রানা আরেকটি পোস্ট করেন। যাতে খোলামেলা ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে।
একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া প্রসেনজিতের একটি সাক্ষাৎকারের কাটিং ভাইরাল হয়েছে। যাতে প্রসেনজিৎ বলেছেন, “আরআরআর-এর মতো দক্ষিণী সিনেমা তিনদিনে ৪০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে। বাংলা সিনেমা তো আপনাদেরও সিনেমা। তার পাশে আপনাদের দাঁড়াতে হবে। একটু আমাদের সিনেমার ভালোভাবে প্রচার করুন, ভালো লিখুন, কিছু ভুল হলে একটু ওভারলুক করুন। নিজেদেরই তো ইন্ডাস্ট্রি। এটা না হলে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি শ্মশান হবে। আমি যখন শুরু করেছিলাম তখনও শ্মশানই ছিল। খবরের কাগজেও লেখা হত। সেখান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”
প্রসেনজিতের এই সাক্ষাৎকারকে শেয়ার করে রানা লিখেছেন ফেসবুকে, “এপ্রিল ফুল করছেন? নিজের সিনেমাতে ২৫ লক্ষ টাকা রেমুনারেশন নেন বিনিময়ে ২৫ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি করার গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষমতা আপনার নেই; দিনে ৩০ লিটার পানির বিল পাঠান। কতটা পানি মেশান? ব্যক্তিগত লাক্সারি মেকাপ ভ্যানের পয়সাও ছাড়েন না। সমসাময়িক সহকর্মীদের পেছনে ষড়যন্ত্র করেন চিরকাল, প্রযোজকদের মুরগি করার সব রাস্তা আপনার নখদর্পন। আরো এতো কিছু আছে বলে শেষ করার যাবেনা, ইডি, সিবিআই তদন্ত, চিটফান্ডের সঙ্গে সখ্যতা কোনোটাই তো অজানা নয়।”
এরপরই প্রসেনজিতের বলা শ্মশান হয়ে যাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি কথার পরিপ্রেক্ষিতে রানা বলেন, “হঠাৎ শ্মশানের ভয় হচ্ছে আপনার? বাংলা ইন্ডাস্ট্রি শ্মশান হলে ডোম তো আপনিই... আপনি রিটায়ার করুন, দেখবেন ভয় কমে গেছে, এতদিনের পাপের জ্বালায় আপনার ভয় এখন বেশি, বাকিরা কিন্তু লড়ে যাচ্ছেন। ভালো থাকুন, ফেক ডায়লগবাজি কমান তাহলেই শ্মশান থেকে দূরে থাকবেন।”
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
আরএমএ/