প্রাইভেট প্রাকটিস নেই বলে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টে আগ্রহ কম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১১, ৬ মার্চ ২০২৪
এক লাখ রোগীর জন্য মাত্র একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট। যদিও থাকার কথা ৫ জন। কেন এই সংকট? বিশেজ্ঞরা বলছেন, এই বিভাগের চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন না। তাই ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই চিকিৎসাশাস্ত্রের এই বিভাগে আসতে আগ্রহ দেখায় না কেউ। এ অবস্থায় সংকট নিরসনে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা নিতে চায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, জেলা সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের পদ ৬৬৮টি। এর মধ্যে ২২১টিই খালি। এ কারণে বিঘ্ন ঘটছে জটিল সব রোগের অস্ত্রপচার। সার্জনরা সময় মতো করতে পারছেনা অপারেশন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী দেশে প্রায় ১৩ হাজার অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট দরকার। অর্থাৎ প্রতি এক লাখে ৫ জন।
বিশেষজ্ঞ অ্যানেস্থেসিওলজিস্টেরা বলছেন, তাদের জন্য প্রাইভেট প্রাকটিস করা কঠিন। আবার সার্জনের অধীনে কাজ করে সম্মানীও যৎসামান্য। এসব কারণেই সংকট বাড়ছে।
বিএসএমএমইউ অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের অধ্যাপক ডাক্তার দেবব্রত বনিক বলেন,“এমবিএস পাস করার পর অন্যরা প্রাকটিস করতে পারলেও অ্যানেসথেসিয়াতে প্রাকটিস করতে পারেনা। যার জন্য এই সেক্টরে জনবলের বেশি সংকট। দেখা যাচ্ছে, একজন সার্জন অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের অভাবে সপ্তাহে একদিন ওটি করে। তাতে ৫ দিনই তার সার্ভিস জনগণ পাচ্ছেনা। শুধু অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের অভাবে। এই সংকট কাটাতে হলে স্পেশাল ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি অ্যানেসথেসিয়াতে আসো তাহলে এই ইনসেনটিভ পাবে।”
শৃঙ্খলা ফেরাতে ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়া পর ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই উচ্চ শিক্ষার বিষয় ঠিক করে দিতে চায় সরকার। প্রয়োজন ও চাহিদাকেই গুরুত্ব দিতে চায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, “ট্রান্সশিপের পর থেকে চিকিৎসকের পছন্দ এবং তার এমবিবিএসের ফলাফলের সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ বানানো হবে। এরকম একটি প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে। জনবল সংকট অ্যানেস্থেসিওলজিসহ যেসব বিভাগে রয়েছে তা কিভাবে স্থায়ী সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় সেজন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা চিন্তা করা হচ্ছে।”
চিকিৎসকদের জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যান তৈরির পরিকল্পনাও আছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের।
এএইচ