ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে ডেঙ্গু: স্বাস্থ্য সচিব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪০, ১৭ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১৪:৪৬, ১৭ অক্টোবর ২০২২

প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। বিশেষ করে রাজধানীর সরকারি কোনো হাসপাতালেই ডেঙ্গুর রোগীর জন্য বরাদ্দ শয্যা ফাঁকা নেই। তারপরও প্রতিদিন বহু রোগী আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। 

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, “ঢাকা মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর কোনটিতেই শয্যা খালি নেই। কিন্তু আমরা রোগীদের ফেরত পাঠাতে পারি না। যেভাবেই হোক চিকিৎসা দিচ্ছি।”

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, “আমরা চাই না ২০১৯ সালের মত গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হোক। এজন্য হাসপাতালগুলোতে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট চালু করতে হবে। পর্যাপ্ত ফ্লুইড সরবরাহ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রোগী যদি মশারী না নিয়ে আসে, তাহলে হাসপাতাল থেকেই ব্যবস্থা করতে হবে।”

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, “সিটি করপোরেশনগুলোকে বলেছি, দ্রুত হটস্পটগুলোতে অভিযানের ব্যবস্থা করেন। শুধু অভিযান করলেই হবে না, গণমাধ্যমে প্রচারের গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে বর্জ্যের জায়গায় কোনোভাবেই যেন পানি জমে না থাকে। ময়লাগুলো দ্রুত পয়ঃনিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকের ময়লা যেন আগামীকালের অপেক্ষায় না থাকে। ওয়াসার অনেক কাজ পড়ে থাকে। সেগুলোতে যাতে পানি জমে না থাকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে আমাদের অভিযান পরিচালনা করেও কিছু করতে পারব না। মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আশেপাশের জায়গাগুলো পরিস্কার রাখতে হবে। ডাবের পানি ডেঙ্গুতে খুবই জরুরি, কিন্তু ডাবের খোসা আমাদের জন্য সর্বনাশের কারণ।”

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, “ডেঙ্গু রোগীর রক্ত বের হওয়া শুরু হলে তখন ডাক্তারও কিছু করতে পারে না। ১০-১২ হাজারে প্লাটিলেট চলে আসলেই দাতের গোড়া থেকেসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বের হওয়া শুরু হয়। সুতরাং আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “রাজধানীর মিরপুরসহ যেসব এলাকা ডেঙ্গুর অন্যতম হটস্পট, সেখানকার রোগীদের জন্য মিরপুর লালকুঠি ও মহানগর হাসপাতালসহ কোভিডের জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হবে। যেহেতু সেগুলো এখন ফাঁকা, তাই সমস্যা হবে না।”
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি