লোহাগাড়া দুর্ঘটনা
প্রেমারও মৃত্যু, পরিবারটির আর কেউ বেঁচে রইলো না
প্রকাশিত : ১৫:২৩, ৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২৭, ৪ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কিশোরী তাসনীম ইসলাম প্রেমা (১৮) শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানল। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রেমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। চারদিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে শুক্রবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। এর মধ্য দিয়ে বাবা-মা দুই বোনসহ পরিবারের সকলের মৃত্যু হলো।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ধীমান চৌধুরী বলেন, "গুরুতর আহত অবস্থায় প্রেমাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।"
ভয়াবহ দুর্ঘটনার বিবরণগত বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বন রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামমুখী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন প্রেমার বাবা রফিকুল ইসলাম শামীম, মা লুৎফুন নাহার সুমি এবং দুই বোন আনীসা আক্তার (১৪) ও লিয়ানা (৮)। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ছিলেন শামীমের ভাগ্নি তানিফা ইয়াসমিন ও পারিবারিক বন্ধু মুক্তার হোসেন।
পরিবারের শেষ সদস্যের বিদায়প্রেমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার নিঃশেষ হয়ে গেল। ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা শামীম পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রাই তাদের জন্য শেষ হয়ে গেল।
এ দুর্ঘটনায় আহত শিশু আরাধ্য বিশ্বাস (৮) ও কিশোর দুর্জয় মণ্ডল এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত আরাধ্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন হাসপাতালের মালিক।
মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১প্রেমার মৃত্যুতে এ দুর্ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১। লোহাগাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমবি//
আরও পড়ুন