ফতুল্লার আগুনে দগ্ধ মা-মেয়ের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৩:৪০, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় বাসায় আগুন লেগে দগ্ধ পরিবারের নয় জনের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহতরা হলেন, ছায়া রানী, সুমিত্রা। সম্পর্কে তারা মা মেয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ছায়া রানী এবং সকাল ১০টার দিকে সুমিত্রার মৃত্যু হয়। এবিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ছায়া রানী (৬০) ও তার মেয়ে সুমিত্রা (২৭) মৃত্যু হয়। বাকি সাতজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল গণমাধ্যমকে জানান, ছায়া রানীর শরীরের ৬০ শতাংশ এবং সুমিত্রার শরীরের ৩৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকা বাকি সাতজনের অবস্থাও ভালো নয়। ফতুল্লা এলাকার কোতালেরবাগ হক বাজারে এক ভবনের তৃতীয় তলায় ছায়া রানীদের বাসায় বুধবার ভোরে আগুন লাগে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পাইপ লাইনের ছিদ্র থেকে ঘরে গ্যাস জমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে পুলিশ ও প্রতিবেশীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পরে ভিন্ন মত প্রকাশ করেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাসের ছিদ্র থেকে আগুন লাগার কোনো আলামত তারা পাননি। রান্নাঘরের জানালা খোলা ছিল। রান্নাঘর অক্ষত ছিল।
“যেখানে আগুন লেগেছিল সেখানে মশাল কয়েল দেখা গেছে। পোড়া দেখে মনে হচ্ছে অনেক সময় ধরে আগুন ধরেছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বাকি সাতজন হলেন- ছায়া রানীর ছেলে শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মণ (৩৫), তার স্ত্রী মতি অর্চনা (৩৪), তাদের মেয়ে অনামিকা (১৪), ছেলে অর্পিত (৯), শ্রীনাথের ভাতিজা প্রমিত (১৪) ও শাওন (১০) এবং সুমিত্রার স্বামী নারায়ণচন্দ্র (৩৫)।
টিআর/
আরও পড়ুন