ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
প্রকাশিত : ১৭:১৫, ২৩ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩৯, ২৩ মার্চ ২০২৫

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা বর্তমানে পেঁয়াজের দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হলেও উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় তারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এতে করে পেঁয়াজ চাষিরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। সালথা উপজেলায় এবছর প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় চাষিরা হতাশ।
চাষিরা জানান, পেঁয়াজ চাষে বিঘাপ্রতি খরচ ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। দেশি পেঁয়াজ ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৭০-৮০ মণ ফলন হয়। কিন্তু বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতিমণ ৯০০ থেকে ১০৫০ টাকা, যা উৎপাদন খরচের চেয়েও কম। চাষিরা বলছেন, প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম যদি ২ হাজার টাকা হয়, তাহলে তারা কিছুটা লাভবান হতে পারবেন।
সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার জানান, এবছর পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি থাকায় এবং অধিক সেচের প্রয়োজন হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মৌসুমের শুরুতে দাম কম থাকলেও পরবর্তীতে দাম বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, সরকার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট থেকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ ক্রয়ের উদ্যোগ নেবে বলে তিনি আশাবাদী।
এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। কৃষকদের উৎপাদন খরচ পূরণ এবং লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব।
এসএস//
আরও পড়ুন