ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নিয়োগ হলে মানবে না শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ১৭:৩৬, ২৫ এপ্রিল ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৪৫, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রায়াত্ত জনতা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার (নির্বাহী কর্মকর্তা)পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে তা বাতিল ও পুনরায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী চাকরি প্রত্যাশীরা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, আমরা চাই মেধার মূল্যায়ন হোক। প্রকৃত মেধাবীর যাতে চাকরি পায় সেই জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোনল করছি। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পরেও যদি এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় এবং ওই ফলের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা কখনোই মেনে নিবে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিভিন্ন প্রমাণ তুলে ধরেন । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত একজন নিয়োগপ্রার্থী জানান, পরীক্ষার আগের রাতে তাকে প্রশ্নপত্রের ৬ নং প্রশ্ন দেখিয়ে বলা হয় দেড় লাখ টাকা দিলে তাকে পুরো প্রশ্ন দেওয়া হবে । পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ছাড়াও তারা মুঠোফোনের প্রমাণগুলো উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখান ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, রকিবুল হাসান, জায়েদ ইমরুল মোজাক্কিন, রোকনুজ্জামান রাকিব প্রমুখ । আন্দোলনকারীরা জানান আগামীকাল বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ উল্লেখ করে তারা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির কাছে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন জানাবেন।
গত ২১ এপ্রিল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ জনতা ব্যাংক এর লিখিত পরীক্ষা নেয়। অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমদ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন