ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ফাঁস হলো সিঙ্গাপুরের এইচআইভি-তথ্য

প্রকাশিত : ১০:৩৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যভাণ্ডারে হানা দিয়ে এইচআইভি পজেটিভ অন্তত ১৪ হাজার ২০০ জনের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে।

মিখি ফেরারা ব্রোকেজ় নামে ওই ব্যক্তি ২০০৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। ২০১৭ সালে প্রতারণা ও মাদক সংক্রান্ত মামলায় জেল হয় তার। নিজে এইচআইভি পজেটিভ হওয়া সত্ত্বেও সে বিষয়ে মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে মিথ্যে বলার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সিঙ্গাপুর ছাড়তে হয় তাকে। এইচআইভি আক্রান্তদের সিঙ্গাপুরে দীর্ঘকালীন থাকা ও কাজের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।

সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা যাতে তিনি পান, সে জন্যে সিঙ্গাপুরনিবাসী এক চিকিৎসকের সঙ্গীর রক্তের নমুনা জোগাড় করে রক্ত পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন মিখি।

২০১৬ সালের মে মাসেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানতে পারে এইচআইভি সংক্রান্ত গোপন তথ্যে হাত পড়েছে মিখির। গত সপ্তাহে ২০১৩-র জানুয়ারি পর্যন্ত নথিভুক্ত ৫ হাজার ৪০০ এইচআইভি আক্রান্ত সিঙ্গাপুরবাসী।এবং ২০১১-র ডিসেম্বর পর্যন্ত নথিভুক্ত ৮ হাজার ৮০০ জন এইচআইভি আক্রান্ত বিদেশি নাগরিকের নাম, ঠিকানা, পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর-সহ নানা ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেন মিখি।

কীভাবে মিখি ওই তথ্য হাতে পেলেন এবং কেনই বা তা ফাঁস করলেন, স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের অনুমান, মিখির সঙ্গীর সাহায্যেই ওই তথ্য হাতে পান তিনি। তদন্তকারীরা জানান, আগে থেকেই এইচআইভি তথ্যভাণ্ডারের নাগাল ছিল মিখির ওই সঙ্গীর।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী গান কিম ইয়ং বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদেরই প্রাক্তন কর্মী যার এইচআইভি সংক্রান্ত গোপন তথ্যভাণ্ডারে যাতায়াত ছিল, তিনি মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা নির্দেশিকা পালন করেননি এবং তার জন্যই গোপন তথ্য ভুল লোকের হাতে পড়ে ফাঁস হয়েছ।’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি