ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সেই মেজর জিয়ার মামলা প্রত্যাহারের আবেদন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৩, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ০৮:২৫, ৫ জানুয়ারি ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মেজর জিয়ার হদিস মিলেছে। সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত জিয়া সাতটি মামলা এবং জঙ্গির খাতা থেকে নাম কাটাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে নিজের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জিয়া। শুধু তাই নয়, মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানোর।

তিনি আরও জানান, জিয়া তাকে মেসেঞ্জারে ফোন দেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন জিয়া। তার নামে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। এ ছাড়া আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন তার নামে থাকা ৭টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য।

তিনি আরও জানান, ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়া। তবে কোন দেশে তা জানা যায়নি।

এদিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছেন জিয়া ওরফে মেজর জিয়া।

অডিও কলে তিনি বলেন, ‘পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি। এভাবেই বিগত ফ্যাসিস্ট ভারতীয় দালাল সরকার জঙ্গি ট্যাগ ব্যবহার করে। তাদের সকল বিরোধী প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখেছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশিটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে।’

তার দাবি, ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় তাকে টার্গেট করা হয়েছিল। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।

এ পলাতক আসামি বলেন, ‘শুরুতে এক সময় (আমাকে) জঙ্গি বলা হয়েছে। পরে এক সময় আল কায়দা বলা হয়েছে, পরে আনসার আল ইসলাম বলা হয়েছে। আরেক সময় আইএস বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে চাপে রাখা যায়।’

প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। পুলিশের খাতায় তিনি একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। কখনও আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনো-বা আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে তাকে। 

জিয়াকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল শেখ হাসিনার সময়।

এ ছাড়া ২০২১ সালে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনানের তথ্য পেতে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক টুইটে পুরস্কারের এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি