ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় কেন খাবেন!
প্রকাশিত : ১৪:০১, ৩ আগস্ট ২০২৩
রসনাকে পরিতৃপ্ত করতে গিয়ে যে কয়টি খাবার ও পানীয়কে মানুষ তার জীবনের অংশ করে নিয়েছে, তার অন্যতম হলো ফাস্ট ফুড বা জাংক ফুড এবং কোমল পানীয়।
ফাস্ট ফুডকে বলা হয় টেস্টি পয়জন বা সুস্বাদু বিষ। এর প্রভাবে প্রতিবছর গড়ে ৪০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। আর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা দুরারোগ্য রোগে। ফাস্ট ফুডের জনপ্রিয়তা এখন শুধু পাশ্চাত্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বব্যাপী এর জয়জয়কার। আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি এর আদ্যোপান্ত।
ফাস্ট ফুড বা জাংক ফুড
প্রক্রিয়াজাত-প্যাকেটজাত সকল খাবারই হচ্ছে ফাস্ট ফুড। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু, দৃষ্টিনন্দন, সুঘ্রাণে ভরা। এতে থাকে প্রচুর চিনি লবণ তেল চর্বি এডিক্টার টেস্টার ফ্যাটেনার। এটি খুব দ্রুত পরিবেশন করা যায়। যেমন : বার্গার পিৎজা হটডগ পেস্ট্রি চিপস ক্র্যাকার্স কুকিজ সসেজ হ্যাম এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি। ফাস্ট ফুড কেন ক্ষতিকর?
ফাস্ট ফুডে থাকে প্রচুর চিনি এবং রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (সাদা ময়দা)। ফলে হজম শেষে অতিরিক্ত গ্লুকোজ রক্তে প্রবেশ করে। ইনসুলিনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ রক্ত থেকে কোষে প্রবেশ করে এবং বিপাকক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রথমে গ্লাইকোজেন এবং একপর্যায়ে ট্রাইগ্লিসারাইড (বডি ফ্যাট) হিসেবে লিভার, পেশি এবং পেটের মধ্যে জমা হতে থাকে। ফলে দেখা দেয় স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
ফুড প্রসেসিং অর্থাৎ খাবার প্রক্রিয়াজাত করার সময় ভোজ্য তেল থেকে একটি নতুন ফ্যাট তৈরি হয়, যার নাম ট্রান্স ফ্যাট। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি ফ্যাট। ভোজ্য তেলের পার্শিয়াল হাইড্রোজেনেশনের ফলে সৃষ্ট এই ট্রান্স ফ্যাট ক্রমাগত শরীরে প্রবেশের ফলে রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়, উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল কমে যায় এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
ফাস্ট ফুড অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ার অন্যতম কারণ প্রচুর লবণ। তেল ও চিনির সাথে লবণ যোগ হয়ে খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। লবণে থাকে সোডিয়াম। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে। ফলে শরীরে একটি ফোলা ফোলা ভাব চলে আসে ও একপর্যায়ে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং হার্টের ওপর চাপ প্রয়োগ করে হার্টের ক্ষতি করে।
ফাস্ট ফুডে বাড়ে অ্যাজমার ঝুঁকি। গবেষণায় দেখা গেছে, যে-সব শিশু সপ্তাহে কমপক্ষে তিন বার ফাস্ট ফুড খেয়েছে তাদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফাস্ট ফুড শিশুর আইকিউ দুর্বল করে দিতে পারে। বিশেষত বয়স তিন বছর হওয়ার আগে থেকেই যে-সব শিশু চিপস পিৎজা বার্গার পেস্ট্রি ইত্যাদি খেতে শুরু করে, তাদের আইকিউ কমতে থাকে। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী চার হাজার স্কটিশ শিশুর ওপর চালানো এ গবেষণার ফলাফল দেখে বিজ্ঞানীরা বলেন, ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষমতা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রজনন ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফাস্ট ফুড। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাস্ট ফুডে রয়েছে থ্যালেইটস নামের একটি কেমিক্যাল, যা সেক্স-হরমোনের স্বাভাবিক কাজে বাধা প্রদান করে। তাই নিয়মিত ফাস্ট ফুড খেলে প্রজনন হার কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।
ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে টিন-এজারদের ব্রন ও একজিমা হতে পারে। এর পেছনে মূল কারণ ফাস্ট ফুডের অতিরিক্ত চিনি ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট। এর আরেকটি ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে দাঁতের ক্যাভিটি (গর্ত) তৈরি এবং হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া। প্রক্রিয়াজাত খাবার হওয়ার কারণে এতে নেই কোনো ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল। উপরন্তু এটি নানাবিধ রোগের জন্ম দেয় এবং ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে তোলে। ফলে ফাস্ট ফুড-প্রেমীরা সহজেই রোগাক্রান্ত হন, বিশেষ করে ফ্লু জাতীয় রোগে।
খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ফাইবার বা আঁশ, যা ফাস্ট ফুডে প্রায় অনুপস্থিত। যার ফলে হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, এনাল ফিশার, রেকটাল প্রোলাপ্স, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি। ফাস্ট ফুডের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হচ্ছে স্থ‚লতা। স্থূলতার প্রভাব শরীরে সর্বব্যাপী। হৃদরোগ, কোলন ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, স্ট্রোক এমনকি বন্ধ্যাত্বের সাথে স্থূলতার সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রক্রিয়াজাত মাংসকে গ্রুপ-১ কার্সিনোজেন (ক্যান্সার সৃষ্টিতে সক্ষম) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হট ডগ, সালামি, বেকন, হ্যাম ইত্যাদি তৈরিই হয় প্রক্রিয়াজাত মাংস দিয়ে।
কোমল পানীয়
কোমল পানীয় একটি তরল বিষ, যা পৃথিবীজুড়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নামে কোমল হলেও হিংস্রতায় কঠিন এই পানীয়টি হতে পারে কিডনি রোগ, স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের কারণ।
ফ্রিজে চার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার কম তাপমাত্রায় কোনো তরল দীর্ঘক্ষণ রাখলে তা জমে বরফ হয়ে যায়। কিন্তু কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে না। কারণ এগুলোতে এন্টি-ফ্রিজার হিসেবে মেশানো হয় একটি রাসায়নিক উপাদান—ইথিলিন গ্লাইকল। এটি মানবদেহের জন্যে স্বল্পমাত্রার আর্সেনিকের মতোই বিষ। মূলত শিল্পকারখানায় ব্যবহারযোগ্য হলেও বর্ণ ও গন্ধহীন স্বচ্ছ এ উপাদানটি বিভিন্ন পানীয়ে এন্টি-ফ্রিজার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হরদম। গবেষকদের মতে, ইথিলিন গ্লাইকল মানবদেহে নীরব বিষক্রিয়া ঘটায়। কেন্দ্রীয় ¯স্নায়ুতন্ত্র, হৃৎপিন্ড, লিভার, কিডনির জটিলতা এমনকি দীর্ঘমেয়াদে কিডনি বৈকল্য পর্যন্ত ঘটাতে পারে এ উপাদান।
কোমল পানীয় এসিডিক বা অম্লীয় (pH ২.৪ থেকে ২.৮ এর মধ্যে)। ফলে দীর্ঘদিন পান করলে তা দাঁত ও হাড়সহ শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে। ঝাঁঝালো স্বাদের জন্যে এতে মেশানো হয় ফসফরিক এসিড, যা দাঁতের এনামেল আর শরীরের হাড়ের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় ভর্তি বোতলে একটি দাঁত ফেলে রেখে দিলে তা ১০ দিনের মধ্যে পুরোপুরি গলে যায়। ব্রিটিশ ডেন্টাল এসোসিয়েশনের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, প্রতিবার কোমল পানীয় গ্রহণের প্রায় একঘণ্টা পর্যন্ত দাঁতের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব বজায় থাকে।
নিয়মিত কোমল পানীয় পানের ফলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান মূত্রের সাথে বেরিয়ে যায়। ফলে বাড়তে থাকে হাড়ক্ষয়ের সম্ভাবনা এবং হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড গ্লান্ডের কার্যকারিতা কমে যাওয়া)।
কোমল পানীয় এক ধরনের আসক্তি সৃষ্টি করে। এর প্রধান কারণ উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন। এই ক্যাফেইন মাদকের মতোই আসক্তিকর। এজন্যে এগুলো একবার পান করলে বার বার পান করতে ইচ্ছে হয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দনকেও বাধাগ্রস্ত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন গর্ভপাত, নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব, কম ওজনের সন্তান প্রসব ও গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি ঘটানোর মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এ-ছাড়াও মূত্রাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সারসহ কমপক্ষে ছয় ধরনের ক্যান্সার ও উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ এই অতিরিক্ত ক্যাফেইন।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, কোমল পানীয়কে সুস্বাদু করার জন্যে প্রতি বোতল কোমল পানীয়তে মেশানো হয় গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুকটোজ ইত্যাদি সুগার, যার পরিমাণ প্রায় ৩৭ গ্রাম বা প্রায় ১০ চা চামচ চিনির সমান। আর রক্তে যে পরিমাণ সুগার থাকে তার পরিমাণ মাত্র এক চা চামচ চিনির সমান।
ফলে দেখা যাচ্ছে, এক বোতল বা এক ক্যান কোমল পানীয় পানের ফলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় প্রায় ১০ গুণ। এই অতিরিক্ত চিনি বা সুগার স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, গলব্লাডারে পাথর, উচ্চ রক্তচাপ এবং অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ইথিলিন গ্লাইকলের পাশাপাশি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসে মেশানো হয় কিছু কৃত্রিম রঙ, যেমন : টারট্রাজিন, কারমোসিন, সালফেট ইয়েলো ইত্যাদি। নরওয়ে সুইডেন ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এগুলো বিক্রয় নিষিদ্ধ। কারণ এ উপাদানগুলো ক্যান্সার সৃষ্টির জন্যে দায়ী।
সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এসব চিনিযুক্ত পানীয় বা সুগারি ড্রিংক কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। বলা হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের কোলা, সোডা বা চিনিযুক্ত পানীয় যারা নিয়মিত পান করেন, তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি।
একালের প্রখ্যাত মার্কিন গবেষক, বক্তা ও টিভি ব্যক্তিত্ব মার্ক পেন্ডারগ্রাস্ট। ২০০০ সালে প্রকাশিত তার একটি বই ফর গড কান্ট্রি এন্ড কোকাকোলা। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও গবেষণার ভিত্তিতে রচিত এ বইটিতে কোকাকোলাসহ অন্যান্য কোমল পানীয়ের অনেক অজানা দিক উন্মোচন করেন পেন্ডারগ্রাস্ট। তিনিই প্রথমবারের মতো বলেন, কোকাকোলার ফর্মুলায় এলকোহলের উপস্থিতি রয়েছে। তার ভাষায়, ‘শিশুরাও মদ খাচ্ছে! কারণ মা-বাবারা তাদের হাতে কোকের গ্লাস তুলে দিচ্ছেন’।
মালয়েশিয়াভিত্তিক ভোক্তাদের সংগঠন ‘উটুসান কনজ্যুমার’ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোকে রয়েছে এলকোহল, তাই মুসলমানদের জন্যে এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এখানেই শেষ নয়। মার্ক পেন্ডারগ্রাস্টের মতে, কোকাকোলার আরেকটি উপাদান গ্লিসারিন। কোকাকোলা কোম্পানিও তাদের পানীয়ে গ্লিসারিন থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন নি। গ্লিসারিন হচ্ছে তেল ও চর্বির উপজাত, যা ব্যবহৃত হয় সাবান তৈরিতে। অনেকেরই আশঙ্কা, মুসলমানদের জন্যে নিষিদ্ধ বা হারাম প্রাণী থেকেও এ চর্বি সংগৃহীত হতে পারে। নবীজী (স) বলেন, ‘যা বৈধ তা সুস্পষ্ট, যা অবৈধ সেটাও সুস্পষ্ট। কিন্তু সন্দেহজনক জিনিস যা অনেক মানুষই জানে না, সেগুলো থেকে যে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে, সে তার ধর্ম ও সম্মানকে নিষ্কলুষ রাখে’। (বোখারী ও মুসলিম)
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে প্রচলিত কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস-সহ সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় এবং প্যাকেটজাত ও বোতলজাত জুস—সবই আসলে কমবেশি একই উপাদান দিয়ে তৈরি। আর এসব পানীয়তে বর্ণ, গন্ধ ও প্রিজারভেটিভ হিসেবে যা ব্যবহৃত হয়, তার অধিকাংশই মানবদেহের জন্যে ক্ষতিকর ও নীরব ঘাতক। তাই ফাস্ট ফুড বা জাংক ফুড, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস, প্যাকেটজাত বা বোতলজাত জুস পুরোপুরি পরিহার করুন। আপনি সুস্থ থাকবেন ও দীর্ঘজীবী হবেন।
এমএম//
লেখাটি "এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ" বই থেকে নেওয়া