ফিডের দাম বেশি, বিপাকে পোল্ট্রি খামারিরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৪০, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | আপডেট: ১৩:৪২, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
পোল্ট্রি খাদ্যসহ বেড়েছে সব উপকরণের দাম। এর ওপরে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দাপটে বিপাকে খামারিরা। অনেকেই চিন্তা করছেন ব্যবসা বন্ধের।
দুই ব্যাংকার আশরাফুল ও আনোয়ার জাহিদসহ চার বন্ধু ২০১৯ সালে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগে পোল্ট্রি ব্যবসা শুরু করেন। স্বপ্ন ছিলো বিনিয়োগ, পরিশ্রম আর দুরদর্শিতার মিশেলে সফল হবেন তারা।
তবে করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক যুদ্ধ ব্যাঘাত ঘটিয়েছে তাদের স্বপ্নে। খাদ্যসহ উপকরণের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় খামারই বন্ধের উপক্রম।
এই ব্যবসায়ী বলেন, “উতপাদনে খরচ বাড়িয়ে বিক্রিতে যদি লাভ না করতে পারি তাহলে তো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টিকে থাকা মুশকিল।”
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “ফিড প্রোডাকশনের দিকে যদি সরকার নজর দেয় তাহলে হয়তো ক্ষুদ্র খামারিরা লসের মুখে পড়বে না।”
একই অবস্থা জেলার সাত হাজারের বেশি ছোট-বড় পোল্ট্রি মুরগির খামারিদেরও। গত মাসেই বস্তাপ্রতি খাবারের দাম বেড়েছে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা।
আরেক খামারি বলেন, “অতিরিক্ত খাবারের দামের কারণে মুরগি কিংবা ডিম কোনোটা বিক্রিতেই লাভ নেই।”
ব্যবসায়ীরা জানান, পোল্ট্রি খাবারের ১৪-১৫ ধরনের উপকরণই আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। ডলারের দাম বাড়ায় বেড়েছে এসব উপকরণের দামও।
পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীরা বলছেন, ”আমদানি করা পণ্যের দামের ব্যপারে দৃষ্টি দিতে হবে, যে কী দামে বিক্রি হচ্ছে।”
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মতে, খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, আমদানি নির্ভরতা কমানোসহ খোলা বাজারে পোল্ট্রি মুরগি কেনাবেচায় হতে পারে সংকট নিরসন।
”পোল্ট্রি বা ডেইরি পণ্য বিক্রির একটা খোলা বাজার করা যায় তাহলে সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।” জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
ডা. হাবিবুর রহমান।
পোল্ট্রি শিল্পসহ এর সাথে সংশ্লিষ্টদের বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনারও দাবি খামারিদের।
এসবি/
আরও পড়ুন