ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জাবির দুই হলে সংঘর্ষ, আহত ৩০
প্রকাশিত : ১০:৩২, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতায় গোল বাতিল হওয়াকে কেন্দ্র করে কামালউদ্দিন হল ও মওলানা ভাসানী হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
এর পূর্বে বিকালে আন্তঃহল চ্যান্সেলর কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কামালউদ্দিন হল ও মওলানা ভাসানী হলের খেলোয়াড়-সমর্থকদের মধ্যে গোল নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। যা পরবর্তীতে মারামারিতে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মারফত জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, ভাসানী হলের প্রভোস্ট হুসাইন মোঃ সায়েম, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ হেল কাফি, কামালউদ্দিন হলের হাউজ টিউটর অসীম চন্দ্র দে ও মৃধা মোঃ শিবলী নোমানের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মাঠেই বিষয়টির সমাধান করে দেয়া হয় এবং ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। খেলাধূলা পরিচালনা কমিটির বৈঠকে বিষয়টির মীমাংসা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়।
পরবর্তীতে ভাসানী হলের শিক্ষার্থীরা হলে যাওয়ার পথে কামালউদ্দিন হলের দিকে ইট নিক্ষেপ করলে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিস্থিতি পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বটতলা এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় দুই পক্ষই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, এতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী অর্পণ গুরুতর আহতবস্থায় এনাম মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। তার মুখের ৪টি দাঁত ভেঙে গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার ড. শামসুর রহমান জানান, “কতজন আহত হয়েছেন তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। আমরা ছয়জন চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। কমপক্ষে ৩০ জনের মত আহত হয়েছে, যার মধ্যে ৫ জনের অবস্থা খারাপ ছিল। ৪ জনের মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে এবং একজন মুখে ও দাঁতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।”
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করেছি। দুই হলের শিক্ষার্থীরা আপাতত হলে ফিরে গেছে। সবাইকে নিয়ে বসে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এএইচ
আরও পড়ুন